মাছ, মশা, মাছি, ছারপোকার রক্ত পাক না নাপাক?

উত্তর: মাছের রক্ত পাক। মাছি, ছারপোকা ও মশার রক্তও পবিত্র। এ সব কাপড়ে লাগলে কোন সমস্যা নেই। (সূত্র: শরহে বেকায়া, বেহেশতি যেওর)

Posted in uncatagorized, নাপাকীর বর্ণনা | Comments Off on মাছ, মশা, মাছি, ছারপোকার রক্ত পাক না নাপাক?

হালাল পাখির বিষ্টা পাক না নাপাক?

উত্তর: হাঁস, মুরগি ও পানকৌড়ি ছাড়া অন্যান্য হালাল পাখির বিষ্টা পাক। যেমন: চড়–ই, ময়না, পভৃতি। চামচিকার প্র¯্রাব-পায়খানাও পাক। (সূত্র: গুনয়াতুল মুতামাল্লী)

Posted in uncatagorized, নাপাকীর বর্ণনা | Comments Off on হালাল পাখির বিষ্টা পাক না নাপাক?

অনেকে মনে করে ছোট দুগ্ধপায়ী শিশুর প্র¯্রাব-পায়খানা নাপাক নয়। বিষয়টি ঠিক কি না?

উত্তর: না বিষয়টি ঠিক নয়। বরং ছোট দুগ্ধপায়ী শিশুর প্র¯্রাব-পায়খানাও নাপাক। তা নাজাসাতে গলীযা বা শক্ত নাপাক। তা কোথাও লাগলে যথাযথ নিয়মে ধুয়ে পাক করে নিতে হবে। (সূত্র: তিরমিযী শরীফ, রদ্দুল মুহতার)

Posted in নাপাকীর বর্ণনা | Comments Off on অনেকে মনে করে ছোট দুগ্ধপায়ী শিশুর প্র¯্রাব-পায়খানা নাপাক নয়। বিষয়টি ঠিক কি না?

পোশাক-পরিচ্ছেদ সম্পর্কিত সুন্নাতসমূহ

 প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদা কাপড় বেশি পছন্দ করতেন।
 জামা-পায়জামাসহ সকল প্রকার পোশাকপরিধানের সময় ডান হাত ও ডান পা আগে প্রবেশ করাবে।
 পুরুষদের জন্য পায়জামা, লুঙ্গী, প্যান্ট এবং জামা, জুব্বা ও আবা পায়ের টাখনুর ওপর রাখবে। টাখনুর নিচে নামিয়ে পোশাক পরিধান করা হারাম।
 সাধারণভাবে কাপড় পরিধান করার সময় এই দু’আ পড়া-
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ كَسَانِيْ هذَا الثَّوْبَ وَ رَزَقَنِيْه مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّيْ وَ لاَ قُوَّةٍ
উচ্চারণ: আল হামদুলিল্লাহিল্লাযি কাসানী হাযাস্সাওবা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরী হাওলিম মিননী ওয়া লা কুওওয়াহ।
 জামা পায়জামা নিছফে ছাক অর্থাৎ পায়ের নলার অর্ধেক পর্যন্ত হওয়া ভালো। টাখনু গিরার ওপর পর্যন্ত জায়েয।
 গোল জামা সতর ঢাকায় অধিক সহায়ক বিধায় তা উত্তম।
 পুরুষের জন্য মহিলাদের কাট-ছাঁটের পোশাক পরিধান করা এবং তাদের বেশ ধারণ করা, তদ্রƒপ মহিলাদের জন্য পুরষের কাট-ছাঁটের পোশাক পরিধান করা এবং তাদের বেশ ধারণ করা হারাম ও নিষিদ্ধ।
 মহিলাদের জন্য শাড়ি পরিধান করা জায়েয। তবে সেলোয়ার, কামিজ ও উড়না পর্দা রক্ষায় অধিক সহায়ক, বিধায় তাই উত্তম।
 প্রাণির ছবিযুক্ত কাপড় ব্যবহার করা নাজায়েয।
 এতো টাইট-ফিট পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ, যাতে শরীরের অঙ্গ ফুটে উঠে। বিজাতীয় লেবাস-পোশাক পরিধান করা নিষেধ।
 হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কালো এবং সবুজ রঙের কাপড়ও ব্যবহার করেছেন। তাই এসব রঙের কাপড়ও মাঝে মাধ্যে ব্যবহার করা মুস্তাহাব।
 পুরুষের জন্য কুসুম-লাল, হলুদ, জাফরান এবং গোলাপি রঙ নিষিদ্ধ। আর নিরেট লাল অনুত্তম। মহিলাদের জন্য সব রঙ এর পোশাক পরিধান করা জায়েয।
 কামিজ, জামা, কোর্তা, ছদরিয়া ইত্যাদি পরিধান করতে প্রথমে ডান হাত তারপর বাম হাত ঢুকানো সুন্নাত। তেমনি পায়জামা পরিধান করতে প্রথমে ডান পা পরে বাম পা ঢুকানো সুন্নাত।
 বিসমিল্লাহ বলে কাপড় খুলতে শুরু করা এবং খোলার সময় বাম হাত ও বাম পা আগে বের করা সুন্নাত।
 কাপড় পরে আল্লাহ তায়ালার শুকর আদায় করা, এতে অনেক গুনাহ্ মা’ফ হয়।
 পোশাক-পরিচ্ছেদ এতো ভালোও চাই না, যে লোক বলে অমুকের জামাটা বড় দামী, অমুকের পয়জামাটা কী সুন্দর ইত্যাদি। কারণ এতে অহংকারের পরিচয় পাওয়া যায়। আর একবারে হীন, ময়লা ও নোংরা না হওয়া উচিত। কারণ এতে না-শুকরী হয়। মোটকথা, নিজের অবস্থা অনুসারে সাদাসিধে ও মধ্যম ধরণের লেবাস-পোশাক পরবে।
 রেশমের কাপড় পরা পুরুষের জন্য হারাম।
 পুরুষের জন্য যে কোন ধরণের অলঙ্কার পরা হারাম। অবশ্য এক সিকি (৬ গ্রাম} ওযনের রূপার আংটি জায়েয আছে।
 যে অলংকারে বাজনা সৃষ্টি হয় তা মহিলাদের জন্যও পরা নিষেধ।

Posted in সুন্নতে নববী | Comments Off on পোশাক-পরিচ্ছেদ সম্পর্কিত সুন্নাতসমূহ

রোগী দেখার সুন্নাত

 রোগী দেখতে গিয়ে প্রথমে এই দু’আ সাতবার পড়বে এবং রোগী ও উপস্থিত ব্যক্তিরা আমীন বলবে-
أَسْأَلُ اللهَ العَظِيْمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ أَنْ يَّشْفِيَكَ
উচ্চারণ : আসআলুল্লাহাল আজীমা রাব্বাল আরশীল আজীমি আই ইয়াশফিয়া কা।
 অতঃপর এ দু’আ পাঠ করবে বা এর অর্থ বলে রোগীকে সান্তনা দিবে-
لاَ بَاْسَ طَهُوْرٌ اِنْ شَاءَ اللهَ
উচ্চারণ : লা বা’সা তাহুরুন ইনশাআল্লাহ।
অর্থ- কোন সমস্যা নাই; ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবে।
 তারপর হাতে বা কপালে হাত রেখে বলবে, আপনি কেমন আছেন? অতঃপর এ দু’আ পাঠ করা সুন্নাত-
اَذْهِبِ الْبَاْسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشفِ اَنْتَ الشَّافِيْ لاَ شِفَاءَ اِلاَّ شِفَاءُكَ لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আজহিবিল বাসা রাব্বান নাসী, ওয়াশফী আনতাশশাফী লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা শীফাআন লা ইউগাদিরু সাকামা।
 অসুস্থ ব্যক্তিকে সান্তনা দেয়া ও আশাব্যঞ্জক কথা বলা সুন্নাত।
 রোগীকে দেখে তাড়াতাড়ি ফিরে আসা সুন্নাত, যাতে তার এবং সেবা-শুশ্রƒষাকারীদের অসুবিধা না হয়।
 হালাল ঔষধপত্র সেবন করাতে শরীয়তে কোনা নিষেধ নেই; বরং হুকুম আছে।
 রোগীকে খাওয়ার জন্য বেশি জোর করবে না।
 হারাম জিনিস ঔষধে ব্যবহার করবে না।
 শরীয়তের বরখেলাফ তাবীয-কবজ, ঝাড়-ফুঁক, জাদু-টোনা ইত্যাদি কিছুতেই ব্যবহার করবে না।

Posted in সুন্নতে নববী | Comments Off on রোগী দেখার সুন্নাত

তিনটি অতি জরুরী ও সহজ সুন্নাত

আলেমগণ স্বীয় অভিজ্ঞতার আলোকে এ কথা বলে থাকেন যে, তিনটি সুন্নাত এমন রয়েছে যার উপর আমল করলে বাকি সুন্নাতসমূহের উপর আমর করা অতি সহজ হয়ে যায়। এবং সুন্নাত মানার আগ্রহ ও জযবা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
(১) সহীহ শুদ্ধভাবে সালামের প্রচার ও প্রসার করা। সালামের হামযা এবং মীমের হরকতকে স্পষ্ট করা।
(২) প্রত্যেক উত্তম কাজে ও উত্তম স্থানে ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া এবং নি¤œ কাজে ও নি¤œস্তানে বাম দিককে প্রাধান্য দেয়া। যেমন জুতা পরার সময় ‘ডান পা’ দেয়া, খোলার সময় ‘বাম পা’ দেয়া। এমনিভাবে বাথরুমে প্রবেশ করার সময় বাম পা দেয়া, বাহির হওয়ার সময় ডান পা দিয়ে বাহির হওয়া ইত্যাদি।
(৩) বেশি বেশি করে জিকির করা, জিকিরের নিয়ম হলো, ওপর দিকে উঠার সমায় الله اكبر (আল্লাহুআকবার) বলা, নিচের দিকে নামার সময় سبحان الله (সুবহানাল্লাহ) বলা, সমতল স্থান দিয়ে চলার সময় لااله الا الله (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু) বলা সুন্নাত। এবং জায়গায় জায়গায় মাসনূন দোয়াগুলো পড়া।

Posted in সুন্নতে নববী | Comments Off on তিনটি অতি জরুরী ও সহজ সুন্নাত

রাস্তায় চলার সুন্নাত ও আদব সমূহ

 রাস্তার ডান দিক দিয়ে চলবে।
 দৃষ্টি নত করে চলবে।
 কিছুটা সম্মুখপানে ঝুঁকে চলবে। কেননা হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পথ চলার সময় কিছুটা সম্মুখ পানে ঝুঁকে চলতেন। দেখলে মনে হতো যেনো তিনি ওপর থেকে নিচের দিকে অবতরণ করছেন।
 হাত পা ছুড়ে ছুড়ে অহংকার করে চলবে না। রাস্তা অতিক্রম করার সময় যথাসম্ভব দ্রুত চলবে।
 রাস্তায় কষ্টদায়ক কিছু পেলে তা সরিয়ে দিবে।
 মুসলমানের সাথে সাক্ষাত হলে সালাম দিবে এবং সালামের উত্তর দিবে।
 রাস্তায় চলার সময় সম্ভব হলে লাঠি হাতে রাখা সুন্নাত।
 ওপর দিকে উঠার সময় ডান পা আগে বাড়ানো এবং ‘আল্লাহুআকবার বলবে, নিচের দিকে নামার সময় বাম পা আগে বাড়ানো এবং ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে, সমতল স্থান দিয়ে চলার সময় ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলা সুন্নাত।
 বয়স্ক ও সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে সামনে চলার জন্য অগ্রাধিকার দিবে।

Posted in সুন্নতে নববী | Comments Off on রাস্তায় চলার সুন্নাত ও আদব সমূহ

নিজ ঘরে প্রবেশের সুন্নাত

অনুমতি না নিয়ে কারও বাড়িতে বা কামরায় প্রবেশ করবে না। তিনবার ডেকে যদি অনুমতি না পাওয়া যায়, তবে ফিরে আসবে কিন্তু অসন্তুষ্ট হবে না। হয়ত পুরুষ লোক বাড়িতে নেই বা এসময় কোন কাজে লিপ্ত আছে যে অবস্থায় জওয়াব দেওয়া সম্ভব নয়। এইরূপ অনেক কিছু হতে পারে। অনুরূপ নিজের ঘরেও আওয়াজ না দিয়ে প্রবেশ করবে না। হয়ত কেউ বেপর্দা থাকতে পারে বা বেগানা গায়রে মাহরাম মহিলা ঘরে থাকতে পারে। অবশ্য কেউ সাধারণ মজলিসে বা খোলা জায়গায় একাকী বসা থাকলে তার নিকট যাওয়ার জন্য অনুমতি নেয়ার দরকার নেই।
 বাড়ির ভিতর থেকে বা কামরার ভিতর থেকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, তুমি কে? তবে নিজের নাম-পরিচয় পরিস্কার করে বলবে, শুধু ‘আমি’ বলবে না।
 গৃহে প্রবেশ করতে চাইলে পূর্ব হতে গৃহবাসীদেরকে আগমনের কথা জানিয়ে দিবে।
 ঘরে ঢুকার সময় ডান পা দিয়ে প্রবেশ করবে।
 ডান পা দেয়ার পর ‘বিসমিল্লাহ’ পড়বে।
 বিসমিল্লাহ বলার পর এই দোয়া পড়ে প্রবেশ করবে-
أَللهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ وَ خَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللهِ وَلَجْنَا و بِسْمِ اللهِ خَرَجْنَا وَعَلى اللهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا.
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাল্ মাওলাজি ওয়া খাইরাল্ মাখরাজি বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা ওয়া আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা।
এর পর ঘরওয়ালাদেরকে সালাম করবে।
 ঘরে কেউ না থাকলেও ফিরিশতাদের নিয়তে এভাবে সালাম করবে-
أَلسَّلاَمُ عَلَيْنَا وعَلى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ
 যতবার ঘরে যাবে ততবার অনুমতি নিবে ও সালাম করবে, যদিও তা মায়ের ঘর হয়।
 ঘরে গিয়ে একেবারে চুপ হয়ে থাকবে না। কিছু না কিছু জিজ্ঞেস করবে।
 রাত্রি বেলা যখন লোকেরা ঘুমিয়ে পড়ে তখন ঘরে আস্তে আস্তে প্রবেশ করবে।
 রাত্রি বেলা যখন লোকেরা ঘুমিয়ে পড়ে তখন সালাম এত আস্তে করবে যে কেবল জাগ্রত ব্যক্তিই শুনতে পাবে। ঘুমন্ত ব্যক্তিরা নয় এবং এতে কারো ঘুমের ব্যঘাত সৃষ্টি না হয়।
 গৃহে প্রবেশ করার সময় অত্যন্ত খুশি মনে মুচকি হাসতে হাসতে প্রবেশ করবে।
৮ সফর থেকে ফিরার সময় পরিবার-পরিজনের জন্য কিছু হাদিয়া নিয়ে আসা সুন্নাত।
৮ সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকারী ঘরে প্রবেশের পূর্বে দুই রাকা’আত নফল নামায পড়ে নিবে।
ঘর থেকে বের হওয়ার সুন্নাত
 ‘বিসমিল্লাহ’ বলে দরজা খুলবে।
 নি¤েœর দু’আটি পড়বে।
بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلى اللهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম।
 বাম পা দিয়ে বের হবে।
 বের হয়ে আয়াতুল কুরসী পড়বে।

Posted in সুন্নতে নববী | Comments Off on নিজ ঘরে প্রবেশের সুন্নাত

জুতা খোলার সুন্নাত

 বাম পায়ের জুতা আগে খুলবে।
 জুতা হাতে নেওয়ার প্রয়োজন হলে বাম হাতে উঠাবে ও বাম হাতে নিবে।
 যদি কেউ প্রবেশ করে বসতে চায় তবে সে জুতা খুলে বাম পার্শ্বে রেখে বসবে।

Posted in সুন্নতে নববী | Comments Off on জুতা খোলার সুন্নাত

সাহাবায়ে রাসুল (সাঃ)

প্রশ্নঃ ‘সাহাবা’ কাদেরকে বলা হয়?
উত্তরঃ যারা মু’মিন অবস্থায় অন্ততঃপক্ষে একবার হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দেখেছেন, ইসলামী পরিভাষায় তাদেরকে সাহাবা বলা হয়।
প্রশ্নঃ কোন সাহাবাদেরকে ‘বদরী সাহাবী’ হিসেবে চি‎হ্নিত করা হয়?
উত্তরঃ ইসলামের প্রথম জিহাদ বদরে অংশগ্রহণকারী সাহাবাদের কে ‘বদরী সাহাবী’ হিসেবে চি‎িহ্নত করা হয়।
প্রশ্নঃ কোন দশজন সাহাবাকে আশারায়ে মুবাশ্শারা বলা হয়?
উত্তরঃ যে দশজন সাহাবা পৃথিবীতে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন তাদেরকে আশারায়ে মুবাশ্শারা বলা হয়।
প্রশ্নঃ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজা মুবারকের দুই পার্শ্বে কোন দু’জন সাহাবার সমাধি অবস্থিত?
উত্তরঃ হযরত আবু বকর (রাদি.) ও হযরত উমর (রাদি.)।
প্রশ্নঃ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইন্তেকালের পর প্রথম খলীফা নির্বাচিত হন কে?
উত্তরঃ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)।
প্রশ্নঃ ইসলামী জগতের দ্বিতীয় খলীফা কে?
উত্তরঃ হযরত উমর (রাদি.)।
প্রশ্নঃ হযরত আলী (রাদি.) বিরত্বের জন্য কি উপাধি পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ আসাদুল্লাহ অর্থাৎ- আল্লাহর বাঘ।
প্রশ্নঃ সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তরবারী) উপাধি পেয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাদি.)
প্রশ্নঃ কোন দানশীল প্রতিদিন একটি করে গোলাম আযাদ করে দিতেন?
উত্তরঃ হযরত উসমান গনী (রাদি.)।
প্রশ্নঃ কোন সাহাবীর শাহাদাতের পর ফেরেস্তারা তাঁর গোসল দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ হযরত হানযালা ইবনে আমের (রাদি.)।
প্রশ্নঃ মদিনায় ভুমিকম্প শুরু হলে কোন পুণ্যত্মার লাঠির আঘাতে তা বন্ধ হয়ে যায়?
উত্তরঃ হযরত উমর (রাদি.) এর লাঠির আঘাতে।
প্রশ্নঃ কে সর্বপ্রথম বাইতুলমাল প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ হযরত আবু বকর (রাঃ)।
প্রশ্নঃ হিজরী সন গণনাকারী কে?
উত্তরঃ হযরত উমর (রাদি.)।
প্রশ্নঃ ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন কে?
উত্তরঃ হযরত বেলাল (রাদি.)।
খোলাফায়ে রাশেদীন
প্রশ্নঃ খোলাফায়ে রাশেদীন কারা?
উত্তরঃ খোলাফায়ে রাশেদীন ৪ জন। যথা ঃ- (১) হযরত আবুবকর (রাদি.) (২) হযরত উমর (রাদি.) (৩) হযরত উসমান (রাদি.) (৪) হযরত আলী (রাদি.)।
প্রশ্নঃ খোলাফায়ে রাশেদীন এর রাজত্বকাল বা খেলাফত কত বছর স্থায়ী ছিল?
উত্তরঃ ৩০ বছর।

Posted in সাধারণ জ্ঞান | Comments Off on সাহাবায়ে রাসুল (সাঃ)