৯ জিলহজ্জের দিনের আমলগুলো কি কি?

হজ্জের দ্বিতীয় দিন ঃ ৯ জিলহজ্জ। এ দিন হজ্জের প্রধান রুকন (ফরজ) উকুফে আরাফা আদায় করতে হয়। উকুফে আরাফা মানে আরাফায় অবস্থান করা। ৯ জিলহজ্জ জোহরের ওয়াক্ত থেকে উকুফের সময় শুরু হয়। জোহরের ওয়াক্ত থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যে ব্যক্তি আরাফায় উপস্থিত হবে তার জন্য সূর্যাস্ত পর্যন্ত উকুফ করা ওয়াজিব। কেউ সূর্যাস্তের পূর্বে পৌঁছতে না পারলে আগত রাতের সুবহে সাদিক পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আরাফায় জ্ঞাত বা অজ্ঞাত সাবে কিছুক্ষণ অবস্থান করলেও উকুফের ফরজ আদায় হয়ে যাবে। আরাফায় পৌঁছে উকুফের পূর্বে গোসল করা সুন্নাত । কাজেই সূর্য ঢলে যাওয়ার পর জোহরের নামাজের পূর্বে সম্ভব হলে গোসল করে নিন। শুধু অযু করলেও চলবে। আরাফার কেন্দ্রবিন্দু মসজিদে নামিরায় জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারলে জোহর ওরআসর একত্রে ইমাতের পিছনে আদায় করে নেবেন। কিন্তু মসজিদে নামিরায় জামাতে অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হলে জোহরের সময় জোহর এবং আসরের সময় আসর পড়বেন। আরাফায় অন্যতম করনীয় হল দুআ-মুনাজাত ও আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করা।
আরাফার ময়দান থেকে সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ না পড়েই মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। সূর্যাস্তের পর মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে বিলম্ব না করা শ্রেয়। ৯ জিলহজ্জ দিবাগত রাতে মুযদালিফায় রাত্রিযাপন করা সুন্নাতে মুআক্কাদা। এইদিন মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজান ও এক ইকামতে পড়বেন। তবে এ দুই নামায একত্রে পড়ার জন্য যামাত শর্ত নয়। একা পড়লেও দুই নামাজ একত্রে এশার সময় পড়বেন। তবে নিজেরা জামাত করে পড়া ভালো । এরাতের প্রধান আমল হল, ঘুমানো ও আরাম করা। (দেখুনঃ মুআল্লিমুল হুজ্জাজ)

This entry was posted in হজ্জ, হজ্জ আদায়ের নিয়ম. Bookmark the permalink.
//