বর্তমান সমাজে প্রচলিত কিছু রছম সম্পর্কে দয়াকরে আলোচনা করুণ

নিম্নে কতিপয় রছমের আলোচনা করা হল।

  • বিধবা বিবাহকে দোষনীয় মনে করা
  • বিবাহের সময় সামর্থ না থাকা সত্ত্বেও সমস্ত দেশাচার পালন করা এবং অযথা অপব্যয় করা
  • নছব বা বংশের গৌরব করা
  • কোন হালাল পেশাকে আপমানের মনে করা যেমন দপ্তরীর কাজ করা, মাঝিগিরী বা দর্জিগিরী করা, তেল-লবণের দোকান করা ইত্যাদি
  • বিবাহ শাদিতে হিন্দুদের রছম পালন করা, যেমন- ফুল-কুল দ্বারা বৌ বরণ করা, ভরা মজলিসে বউ-এর মুখ দেখনো
  • বিনা প্রয়োজনে কুকুর পালন করা
  • বিবাহ-শাদি, খতনা ইত্যাদি অনুষ্ঠানে হাদিয়া উপঢোকন দেয়াকে আবশ্যক মনে করা
  • শবে বরাতে হালুয়া রুটি করা, পটকা ফুটানো, আতশবাজী করা
  • আশুরায় খিচুড়ি ও শরবত তৈরি এবং বন্টন করা
  • শবে বরাত ও শবে কদরে রাত্র জাগরণের জন্য ফরয ওয়াজিব থেকে বেশী গুরুত্ব সহকারে লোকদের সমবেত করার উদ্যোগ নেয়া
  • ঈদের দিনে ঈদ মুবারক বলা যদিও এর অর্থ খারাপ ছিল না কিন্তু তা রছমে পরিণত হওয়ায় তা বর্জন করতে হবে
  • বলা হয় ‘জানের বদলা জান’ এটা একটা রছম। জানের বদলে জান হওয়া জরূরী নয় বরং যে কোন ছদকা হলেই তা বিপদ দূরীভূত হওয়ার সহায়ক
  • তারাবীহতে কুরআন খতম হওয়ার দিন মিষ্টি বিতরণ করাও রছম
  • মাইয়েতের জন্য ইসালে সাওয়াব করা দুআ করা শরীয়াতে সম্মত। কিন্তু সেটা সম্মিলিত হয়েই করতে হবে এরূপ বাধ্য বাধকতার পেছনে পাড়াও রছমে পরিণত হয়েছে। অতএব তা পরিত্যাজ্য।

–বেহেশতী জিওর, তালীমুদ্দীন, ইসলাহুর রুসুম, আহসানুল ফাতওয়া, ফাতওয়ায়ে রহীমীয়াইত্যাদী।

 

This entry was posted in কতিপয় রছম, বিদআত (রছম-কুসংস্কার). Bookmark the permalink.
//