প্রশ্নঃ হিংসা কি ও তা থেকে মুক্তির উপায় কি?

উত্তরঃ কারও জ্ঞান, বুদ্ধি, সম্পদ, মান-ইজ্জত, সুখ-স্বাচ্ছন্দ ইত্যাদি ভাল কিছু দেখে মনে কষ্ট লাগা এবং আকাংখা হওয়া যে সেটা না থাকুক বা ধ্বংস হয়ে যাক এবং তা হলেই মনে আনন্দ লাগা- এই মনেবৃত্তিকে বলা হয় হাসাদ বা হিংসা। সাধারণতঃ তাকাব্বুর (নিজের বড়ত্ববোধ) বা শত্রুতা থেকে এই মনোভাব সৃষ্টি হয়। কিংবা কারও মন যদি খবীছ হয় তাহলেও এই মনেবৃত্তি জাগতে পারে। হিংসার কারণে নেক আমল নষ্ট হয়ে যায় এবং আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হতে হয়। হিংসুক ব্যক্তি চিরকাল মনের কষ্টে কাল যাপন করতে থাকে, জীবনে কখনও মনে শান্তি পায় না।

এখানে উল্লেখ্য যে, কারও ভাল কিছু দেখে সেটা ধ্বংসের কামনা না করে শুধু নিজের জন্য অনুরূপ হয়ে যাওয়ার কামনা করা গর্হিত নয় বরং এরূপ কামনা করা ওয়াজিব, মুস্তাহাব পর্যায়ের হলে মুসাত্হাব, আর মুবাহ পর্যায়ের হলে মুবাহ। এটাকে হিংসা নয় বরং গিবতা বলা হয়।

এই হিংসা থেকে মুক্তির উপায় ঃ

১.  যার প্রতি হিংসা হয়, মনে না চাইলেও লোক সমাজে তার প্রশংসা করা।

২.  যার যে নেয়ামতের কারণে হিংসা হয়, সেটা তার জন্য আরও বৃদ্ধি পাক আল্লাহর কাছে এই দুআ করতে থাকা।

৩.  মনে না চাইলেও দেখা হলে তাকে সালাম করা, তার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা দেখানো এবং ন¤্র ব্যবহার করা।

৪.  মাঝে মধ্যে তাকে হাদিয়া প্রদান করা।

(দেখুনঃ বেহেশতী যেওর, আহকামে যিন্দেগী)

This entry was posted in কয়েকটি মনের রোগ ও তা থেকে পরিত্রাণের উপায়. Bookmark the permalink.
//