প্রশ্নঃ শোকর কাকে বলে এবং তা অর্জনের পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত অসংখ্য নেয়ামতের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে ভালোবাসা ও দীপ্ত মনে ইবাদত করার নামই শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা।

একথা বলার অপেক্ষ রাখে না যে, প্রতিটি মামনুষ প্রতি মুহূর্তে আল্লাহ তাআলার হাজার হাজার নেয়ামত ভোগ করে ফিরছে। যদি সে কোন বিপদে আক্রান্ত হয় তাতেও তার অসংখ্য ফায়দা ভোগ থাকে। পরিণামে এটাও তার জন্য নেয়ামত হযে দাঁড়ায়। সুতরাং সে যখন সর্বদাই নেয়ামতপ্রাপ্ত হচ্ছে তখন আল্লাহ তাআলার প্রতি সন্তুষ্টিদীপ্ত মনে ভালবাসা থাকবে। আল্লাহকে মহব্বত করবে-তাঁরই নেয়ামতের ছায়ায় দাঁড়িয়ে- এই তো স্বাভাবিক। সর্বদা আল্লাহ’র বিধান মেণে চলবে। এতে কোন প্রকার আলসেমি করবে না।

এই শোকর হাছিল করার পন্থা হল ঃ

১.  আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহ সমূহকে স্মরণ করা। তাঁর নেয়ামতগুলো সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করবে। সবিশেষ চিন্তা করবে নিজের প্রতি আল্লাহ তাআলার কত অগণিত নেয়ামত সদা বর্ষিত হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে। তবেই প্রাণ নিংড়ে প্রবাহিত হবে শুকরিয়ার ধারা।

২.  সব নেয়ামতকে আল্লাহর পক্ষ থেকে মনে করা।

৩.  কোন নেয়ামত সাময়িক হাত ছাড়া হয়ে গেলে তাকেও নিজের জন্য কল্যাণ মনে করবে।

উল্লেখ্য- আল্লাহর কোন নেয়ামতের ভিত্তিতে শুধু মুখে “আলহামদু লিল্লাহ” বললেই শোকর আদায় হয়ে যায় না; বরং প্রকৃত শোকর হল নেয়ামতের ভিত্তিতে মনে মনে আল্লাহর প্রতি প্রফুল্ল হওয়া এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে নেয়ামত দাতা আল্লাহর হুকুম পালনে তৎপর হওয়া। তবে এর সাথে সাথে খুশিতে যবান থেকে “আলহামদু লিল্লাহ” বের হলে সেটাও ইবাদত বলে গণ্য হবে এবং ছওয়াবের হবে।

(দেখুনঃ বেহেশতী যেওর, আহকামে যিন্দেগী)

This entry was posted in কয়েকটি আত্মিক গুণ ও তা অর্জনের পথ. Bookmark the permalink.
//