প্রশ্নঃ লজ্জাশীলতার বাস্তব স্বরূপ কি?

উত্তরঃ নিন্দা সমালোচনার ভয়ে কোন দূষণীয় কাজ করতে মানুষের মধ্যে যে জড়ত্ববোধ হয়ে থাকে সেটাকে বলে হায়া বা লজ্জা। এই লজ্জা মানুষকে ভাল কাজের পদক্ষপে গ্রহণ করতে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে উদ্বুদ্ধ করে। এজন্যই হাদীছে বলা হয়েছে ঃ লজ্জা কেবল সুফল ও কল্যাণই বয়ে আনে।  (বোখারী ও মুসলিম)। এর বিপরীত লজ্জা না থাকলে মানুষ যে কোন অন্যায় কাজই করতে পারে। তাই প্রবাদ আছে- যখন তোমার লজ্জা থাকবে না, তখন যা ইচ্চা তাই কর।

এখানে উল্লেখ্য যে, কোন ভাল কাজ করতে যাদি কখনও জড়তাবোধ হয় তাহলে সেটা লজ্জা বা প্রশংসনীয় গুণ বলে আখ্যায়িত হবে না। যেমন- পর্দা করতে বা দাড়ি রাখতে বা টুপি মাথায় দিতে জড়তাবোধ হল, এটা লজ্জা বা হায়া নয় বরং এটা হল ধর্মীয় হীনমন্যতা বোধ। এমনি ভাবে নিজেকে অত্যন্ত ছোট কারে প্রকাশ করা, যেখানে সেখানে চুপ করে থাকা এবং হীনতা প্রকাশ করা এটিও লজ্জা বা হায়া বলে প্রশংসিত হবার নয় বরং এটা হল স্বভাবগত দুর্বলতা।

যদি কেউ দৈহিক ও আত্তিক শক্তিকে যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ ও যথাস্থানে প্রয়োগ করে এবং পানাহারের চাহিদা ও আত্তিক কামনাসমূহকে নিয়ত্রণ ও যথা স্থানে প্রয়োগ করে, তাহলে তার মধ্যে লজ্জার যথার্থ বিকাশ ঘটবে।।

(দেখুনঃ বেহেশতী যেওর, আহকামে যিন্দেগী)

This entry was posted in কয়েকটি উত্তম চরিত্র. Bookmark the permalink.
//