উত্তরঃ শরীয়াতে এসব নেশাকর দ্রব্য সম্পূর্ণ হারাম, অল্প হোক চাই বেশী হোক। এ সবের শারীরিক, আত্মীক, নৈতিক, আর্থিক ও জাগতিক বিভিন্ন প্রকারের ক্ষতির কারণেই শরীয়াত এগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে। এ সবের বদ-অভ্যাসে কেউ জড়িত হয়ে পড়লে তা ছাড়ানো কঠিন ও কষ্টকর। তবে নি¤েœাক্ত পদ্ধতি সমূহ গ্রহণ করলে ফল পাওয়া যাবে।
১. এসব নেশার মন্দ ও ক্ষতিকর দিকগুলা নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির মনে বদ্ধমূল করাতে হবে এবং তার মনে এর প্রতি ভয়, আতংক ও ঘৃণা জাগিয়ে তুলতে হবে।
২. যে কোন নেশাজনিত অভ্যাস হঠাৎ ত্যাগ করা মানুষের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর তাই ধীরে মন্থর গতিতে অল্প অল্প করে তাকে তা থেকে বেরিয়ে আনতে হবে।
৩. তার কাছ থেকে নেশার উপকরণ এবং পাত্র, তৈজস পাত্র ইত্যাদি দূরে সরিয়ে দিতে হবে বা তাকে নেশাটির উপকরণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে, যতদিন পর্যন্ত তার মন থেকে নেশার ঘোর সম্পূর্ণ কেটে না যায় ততদিন এমন করতে থাকবে।
৪. সবচেয়ে বড় কথা মানুষ উচ্ছা ও সাহস করলে অনেক কঠিন কিছুও করে ফেলতে পারে- নেশাখোর ব্যক্তির মনে এরূপ ইচ্ছা ও সাহস জাগিয়ে তুলতে হবে।
৫. এমন ব্যক্তির বন্ধুদের মধ্যে কেউ নেশাখোর থাকলে তাদের সহচার্য ত্যাগ করতে হবে।
(দেখুনঃ আহকামে যিন্দেগী)