ইসলামিক সাধারণ জ্ঞান

প্রশ্নঃ মহান আল্লাহ কে?
উত্তরঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক ও সৃষ্টিকর্তা এবং আমাদের একমাত্র প্রভূ। আমরা যা কিছু দেখি বা না দেখি সবই তাঁর মাখলুক (সৃষ্টজীব)। মাখলুক কিছুই করতে পারেনা তাঁর হুকুম ছাড়া। তিনি সবই করতে পারেন মাখলুক ছাড়া তিনি এক অদ্বিতীয়। তার কোন শরিক নাই। তিনি কাউকে জন্ম দেন নাই। কারো থেকে জন্ম নেন নাই। তিনিই আল্লাহ।
প্রশ্নঃ আল্লাহ তা’য়ালা কি চিরস্থায়ী?
উত্তরঃ হ্যাঁ। তিনি অনাদি অনন্ত এবং চিরস্থায়ী ও চিনন্তন। ধ্বংস ও অনুপস্থিতি তাঁর সত্ত্বার পরিপন্থী। তাঁর শুরু নেই, শেষও নেই। তিনিই সর্বপ্রথম, তিনিই সর্বশেষ।
প্রশ্নঃ আল্লাহ কি সর্বজ্ঞ?
উত্তরঃ হ্যাঁ। তিনি সৃষ্টি জগতের বিন্দু পরিমান বিষয়-বস্তুরও খবর রাখেন। তাঁর জ্ঞানের বাইরে কোন বস্তু নেই। এজন্যে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে; “নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ”।
প্রশ্নঃ আল্লাহর কতগুলো নাম রয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহর ৯৯টি নাম রয়েছে।
প্রশ্নঃ আল্লাহ তা’য়ালার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কি?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’য়ালার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হল মানুষ।
প্রশ্নঃ আল্লাহ কেমন?
উত্তরঃ আল্লাহ নিরাকার।
প্রশ্নঃ আল্লাহ শব্দটি কুরআনে কতবার উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সহীহ মত অনুযায়ী ৩৬০ বার উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ আল্লাহর সকল নামকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ আসমাউল হুসনা (অতি নান্দনিক নাম)।
প্রশ্নঃ আল্লাহ তা’য়ালা আকাশ ও পৃথিবী মধ্যস্থ যাবতীয় বস্তু কতদিনে সৃষ্টি করেন?
উত্তরঃ ছয় দিনে। (এখানে ছয় দিন বলতে সময়ের ছয়টি স্তরকে বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘ঈমান’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ ঈমান শব্দের অর্থ, বিশ্বাস বা প্রত্যয়।
প্রশ্নঃ যারা ঈমান গ্রহণ করে তাদেরকে কি বলে?
উত্তরঃ তাদেরকে মু’মীন বলে।
প্রশ্নঃ ঈমানের শর্ত কি কি?
উত্তরঃ ঈমানের শর্ত হল- (১) মনে বিশ্বাস স্থাপন করা। (২) মুখে স্বীকার করা। (৩) কাজে পরিণত করা।
প্রশ্নঃ কালেমায়ে তাইয়্যেবা কি?
উত্তরঃ কালেমায়ে তাইয়্যেবা হল- লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
প্রশ্নঃ ইসলামের স্তম্ব কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ইসলামের স্তম্ব পাঁচটি। যথা ঃ (১) কালিমা তথা ঈমান (২) নামায (৩) রোযা (৪) হজ্জ (৫) যাকাত।
প্রশ্নঃ ঈমানের মৌলিক বিষয়সমূহ কি কি?
উত্তরঃ ঈমানের মৌলিক বিষয়সমূহ হল- আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস। ২। আল্লাহর ফেরেশ্তাদের প্রতি বিশ্বাস। ৩। আল্লাহর কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস। ৪। আল্লাহর প্রেরিত নবী ও রাসূলগনের প্রতি বিশ্বাস। ৫। আখেরাত বা পরকালের প্রতি বিশ্বাস। ৬। তাকদিরের ভাল মন্দের প্রতি বিশ্বাস। ৭। মৃত্যুর পর পূণরায় জীবিত হওয়ার ওপর বিশ্বাস।
প্রশ্নঃ পুনরুত্থানের প্রতি ঈমান আনার অর্থ কি?
উত্তরঃ ইহকালের কৃত কর্মের জবাবদিহিতার জন্য সকলকে হাশরের ময়দানে উঠানো হবে। সেখানে মানুষের বিচার করা হবে। সৎ কাজের জন্য মানুষকে জান্নাত দেওয়া হবে এবং পাপীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
প্রশ্নঃ তাওহীদ অর্থ কি?
উত্তরঃ তাওহীদ অর্থ আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদ।
প্রশ্নঃ নবী রাসুলগণ মানুষকে কোনদিকে দাওয়াত দিয়েছেন?
উত্তরঃ নবী রাসুলগণ মানুষকে তাওহীদের দিকে দাওয়াত দিয়েছেন।
প্রশ্নঃ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন কে?
উত্তরঃ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ‘আল্লাহ তায়ালা’।
প্রশ্নঃ সকল শক্তির আসল উৎস ও কেন্দ্র কে?
উত্তরঃ সকল শক্তির আসল উৎস ও কেন্দ্র ‘আল্লাহ তায়ালা’ ।
প্রশ্নঃ একমাত্র কার সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে?
উত্তরঃ একমাত্র ‘আল্লাহ তায়ালার’ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
প্রশ্নঃ আল্লাহকে একক সত্বা হিসেবে স্বীকার ও বিশ্বাস করাকে কি বলে?
উত্তরঃ তাওহীদ।
প্রশ্নঃ হেদায়েত চাইতে হবে কার কাছে?
উত্তরঃ ‘আল্লাহ তায়ালার’ কাছে।
প্রশ্নঃ কোন গুনাহ আল্লাহ তা’য়ালা মাফ করবেন না?
উত্তরঃ শিরকের গুনাহ আল্লাহ তা’য়ালা মাফ করবেন না।
প্রশ্নঃ ঈমানের শাখা কয়টি?
উত্তরঃ ঈমানের শাখা ৭০টিরও অধিক।
প্রশ্নঃ শরীয়ত কাকে বলে?
উত্তরঃ পবিত্র কোরআন এবং হাদীস শরীফ দ্বারা ইসলামের যে বিধান আমাদের উপর বিধিবদ্ধ হয়েছে তাই এক কথায় শরীয়ত নামে অভিহিত।
প্রশ্নঃ কুফুরী কাকে বলে?
উত্তরঃ পবিত্র কোরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফ বিশ্বাসগত এবং আমলগত যে সব বিষয় অত্যাবশ্যকীয় রূপে চি‎হ্নিত করেছে, সে গুলির মধ্যে হতে কোন একটির অস্বীকৃতির নামই হলো কুফরী।
প্রশ্নঃ মুশরেকী কাকে বলে?
উত্তরঃ আল্লাহর একক সত্ত্বা এবং গুনাবলীর মধ্যে যে কোন শক্তির অংশীদারিত্ব মেনে নেয়ার নাম মুশরেকী।
প্রশ্নঃ মুনাফেকী কাকে বলে?
উত্তরঃ ঈমান-আকীদা ও শরীয়তের ক্ষেত্রে কপটতার আশ্রয় নেয়াকে মুনাফেকী বলে।
প্রশ্নঃ ফাসেকী কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কোন কবীরা গুনাহে দ্বিধাহীন চিত্তে অংশ গ্রহণ করাকে ফাসেকী বলে।
প্রশ্নঃ ইহসান কাকে বলে?
উত্তরঃ শরীয়তের আভ্যন্তরীন জিনিসগুলোকে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করার পর সেগুলো বিশুদ্ধরূপে ব্যবহার করার প্রনালীকে বলে ইহসান।
প্রশ্নঃ শরীয়তের আদেশসমূহ মোট কয়টি?
উত্তরঃ শরীয়তের আদেশসমূহ মোট নয়টি। যথা ঃ (১) ফরজ (২) ওয়াজিব (৩) সুন্নাত (৪) মুস্তাহাব (৫) নফল (৬) হালাল (৭) হারাম (৮) মাকরূহ (৯) মোবাহ।
প্রশ্নঃ ফিকাহ কাকে বলে?
উত্তরঃ শরীয়তের বিস্তারিত প্রমাণাদি থেকে শরীয়তের শাখা-প্রশাখা সম্পর্কিত বিধি-বিধান সমন্ধে জ্ঞাত হওয়াকে ফিক্হ বলা হয়।
প্রশ্নঃ ফিকাহ শাস্ত্রের উৎস কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ফিকাহ শাস্ত্রের উৎস ৪টি। যথা ঃ ১. কুরআন। ২. হাদীস। ৩. ইজমা। ৪. কিয়াস।
প্রশ্নঃ ইসলামী আইনের উৎস কি কি?
উত্তরঃ ইসলামী আইনের উৎস ৪টি। যথা ঃ ১. কুরআন। ২. সুন্নাহ। ৩. ইজমা। ৪. কিয়াস।
প্রশ্নঃ ইজমা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ মহানবী (সাঃ) এর অবর্তমানে সাহাবায়ে কেরামগণ যখন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতেন, তখন তাঁরা এর সমাধান খুজে বের করার জন্য গবেষণা করতেন। প্রথমে কুরআন ও হাদীসে সমাধান খুঁজতেন। যখন কুরআন ও হাদীসে প্রত্যক্ষ সমাধান না পেতেন তখন কুরআন ও হাদীসের আলোকে স্বীয়মতের ভিত্তিতে সর্বসম্মতভাবে সমস্যার সমাধান করার নামই হলো ইজমা।
প্রশ্নঃ কিয়াস বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা মীমাংসিত কোন বিষয়ের সাথে অনুরূপ কোন বিষয়কে উপমা দ্বারা সাদৃশ্য বিধান করতঃ উপমানের হুকুম বা সমাধান উপমেয়ের উপর আরোপ করাকে কিয়াস বলে।
প্রশ্নঃ মাজহাব কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ মাজহাব ৪টি। যথা ঃ ১। হানাফী মাজহাব। ২। মালেকী মাজহাব। ৩। শাফেয়ী মাজহাব। ৪। হাম্বলী মাজহাব।
প্রশ্নঃ মাজহাব মানার হুকুম কী?
উত্তরঃ মাজহাব মানা ওয়াজিব।
প্রশ্নঃ আসমানী কিতাব কাকে বলে?
উত্তরঃ আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত কিতাবকে আসমানী কিতাব বলা হয়।
প্রশ্নঃ আসমানী কিতাব কিভাবে অবতীর্ণ হয়েছে?
উত্তরঃ আসমানী কিতাব স্বর্গীয় দূত বা ফেরেস্তাদের দ্বারা ওহীর মাধ্যমে অবতীর্ণ হয়েছে।
প্রশ্নঃ ওহী কি?
উত্তরঃ ওহী আরবী শব্দ। এর অর্থ প্রত্যাদেশ বা আল্লাহর প্রেরিত বাণী। যে সকল বাণী আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে নবী রাসুলগণের নিকট প্রেরণ করা হত।
প্রশ্নঃ সহীফা কাকে বলে?
উত্তরঃ আল্লাহর প্রেরিত ছোট কিতাব বা পুস্তিকাকে সহীফা বলে।
প্রশ্নঃ আসমানী কিতাব কতটি ও সহীফা কতটি?
উত্তরঃ ৪ টি আসমানী কিতাব ও ১০০টি সহীফা।
প্রশ্নঃ ৪ টি আসমানী কিতাব কি কি?
উত্তরঃ (১) তাওরাত (২) যাবুর (৩) ইঞ্জিল (৪) কুরআন।
প্রশ্নঃ কোরআন শরীফ কি?
উত্তরঃ একটি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশ্বরিক গ্রন্থ।
প্রশ্নঃ কোরআন সর্বপ্রথম কোথায় অবতীর্ণ হয়?
উত্তরঃ হেরা পর্বত গুহায়।
প্রশ্নঃ কোরআন কত দিনে অবতীর্ণ হয়?
উত্তর ঃ ২২ বছর ৫ মাস ১৪ দিনে।
প্রশ্নঃ কোরআনের প্রধান বৈশিষ্ট কি?
উত্তরঃ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বৈশিষ্ট হলো প্রথম থেকে এখনও এটি অবিকৃত রয়েছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে।
প্রশ্নঃ কোরআনে আল্লাহ শব্দটি কত বার এসেছে?
উত্তরঃ ২৫৮৪ বার।
প্রশ্নঃ কোরআনের পান্ডুলিপি কে তৈরী করেন?
উত্তরঃ হযরত আবু বকর (রাদি.)।
প্রশ্নঃ হাদীস কাকে বলে?
উত্তরঃ মহানবী (সা) এর অমীয়বানী, কর্ম, এবং অন্যের কর্ম ও কথার প্রতি তার সমর্থন ও মৌন সম্মতিকে হাদীস বলা হয়।
প্রশ্নঃ হাদীসে মারফু কাকে বলে?
উত্তরঃ যে হাদীসের সনদ বা বর্ণনা সূত্রে নবী কারীম (সাঃ) পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাকে হাদীসে মারফূ বলে।
প্রশ্নঃ রাবী কাকে বলে?
উত্তরঃ যিনি হাদীস বর্ণনা করেন তাকে রাবী বা বর্ণনাকারী বলে।
প্রশ্নঃ সনদ কাকে বলে?
উত্তরঃ হাদীসের কথা টুকু যে সূত্রে পরস্পরায় গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে সনদ বলে।
প্রশ্নঃ মতন কি?
উত্তরঃ হাদীসের মূলকথা ও তার শব্দ সমষ্টিকে মতন বলে।
প্রশ্নঃ মোহাদ্দিস কাকে বলে?
উত্তরঃ যিনি হাদীস চর্চা করেন এবং বহু সংখ্যক হাদীসের সনদ ও মতন সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তাকে মুহাদ্দিস বলে।
প্রশ্নঃ সিহাহ সিত্তা নামক হাদীস গ্রন্থগুলো কি?
উত্তর ঃ (১) বুখারী শরীফ (২) মুসলিম শরীফ (৩) আবু দাঊদ শরীফ (৪) তিরমিযি শরীফ (৫) নাসায়ী শরীফ (৬) ইবনে মাজাহ শরীফ ।
প্রশ্নঃ হাদীস শাস্ত্রের স¤্রাট কে?
উত্তরঃ বুখারী শরীফ সংকলক আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ঈসমাঈল বুখারী (রহ.)।
প্রশ্নঃ পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী হাদীস বর্ণনা করেন কে?
উত্তরঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাদি.)।
প্রশ্নঃ মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী হাদীস বর্ণনা করেন কে?
উত্তরঃ হযরত আয়শা (রাদি.)।
প্রশ্নঃ মানুষ কার বান্দাহ্?
উত্তরঃ মানুষ আল্লাহ তায়ালার বান্দাহ্।
প্রশ্নঃ আল্লাহর আনুগত্যের জন্য মানুষ যা কিছু করে তাকে কি বলে?
উত্তরঃ ইবাদত বলে।
প্রশ্নঃ আল্লাহ তা’য়ালা মানুষ ও জ্বিন জাতিকে কেন সৃষ্টি করেছেন?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’য়ালার ইবাদত করার জন্য।
প্রশ্নঃ কার সন্তুষ্টি অর্জন ইবাদতের মূল লক্ষ?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি ইবাদতের মূল লক্ষ ।
প্রশ্নঃ আমরা কার আনুগত্য করব?
উত্তরঃ আমরা আল্লাহ তা’য়ালার আনুগত্য করব।
প্রশ্নঃ তাহারাত শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ তাহারাত শব্দের অর্থ পবিত্রতা।
প্রশ্নঃ অযুর ফরজ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ওযুর ফরজ চারটি। (১) সমস্ত মুখ ধৌত করা। (২) দু’হাত কনুইসহ ধৌত করা। ৩। মাথার চারভাগের একভাগ মাসাহ করা। ৪। দু’পায়ের টাখনুসহ ধৌত করা।
প্রশ্নঃ ওযুর সুন্নাত কি কি?
উত্তরঃ ওযুর সুন্নাত ঃ- (১) ওযু করার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। (২) নিয়ত করা। (৩) মেসওয়াক করা। (৪) কুলি করা। (৫) গড়গড়া করা। (৬) নাকের ছিদ্রে পানি দেওয়া। (৭) প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার করে ধৌত করা। (৮) দু’কান একবার মাসেহ করা। (৯) হাত ও পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা। (১০) দাঁড়ি খিলাল করা। (১১) তারতীব অনুযায়ী ওযু করা। (১২) এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা। (১৩) সমস্ত মাথা মাসেহ করা।
প্রশ্নঃ ওযু ভঙ্গের কারণগুলো কি কি?
উত্তরঃ ওযু ভঙ্গের কারণ ঃ- (১) পেশাব বা পায়খানা বা অন্য কোন বস্তু সামনে বা পিছনের রাস্তা দিয়ে বের হওয়া। (২) রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে। (৩) মুখ ভরে বমি হলে। (৪) পায়খানার রাস্তা দিয়ে বায়ু নির্গত হলে। (৫) কৃমি বের হলে। (৬) কোন কিছুর ওপর হেলান দিয়ে ঘুমালে। (৭) বেহুশ হলে। (৮) পাগল বা মাতাল হলে। (৯) নামাযে জোরে হাসলে প্রভৃতি।
প্রশ্নঃ গোছলের ফরজ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ গোছলের ফরজ তিনটি। যথা ঃ (১০) গড়গড়া করে কুলি করা। (২) নাকে ভালভাবে পানি দেওয়া। (৩) সমস্ত শরীর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধৌত করা।
প্রশ্নঃ গোসল কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ গোসল তিন প্রকার। যথা ঃ (১) ফরজ গোসল (২) সুন্নাত গোসল (৩) মুস্তাহাব গোসল।
প্রশ্নঃ কোন কোন অবস্থায় গোসল ফরজ হয়।
উত্তরঃ (১) বীর্যপাত ঘটলে (২) নারী-পুরুষের যৌন মিলন ঘটলে। (৩) হায়েজ (মাসিক বন্ধ) হলে (৪) নেফাস (সন্তান প্রসব পরবর্তী রক্ত) হলে।
প্রশ্নঃ কোন কোন অবস্থায় গোসল করা সুন্নাত।
উত্তরঃ (১) জুম’আর নামাযের জন্য গোসল করা, (২) দুই ঈদের নামাযের জন্য গোসল করা (৩) হজ্জের ইহরাম বাধার জন্য গোসল করা (৪) আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করার জন্য গোসল করা।
প্রশ্নঃ কোন কোন অবস্থায় গোসল করা মুস্তাহাব।
উত্তরঃ মুস্তাহাব গোসল অনেক। তন্মধ্যে কিছু গোসল এই-
১. শাবান মাসের পনের তারিখে দিবাগত রাত্রে (যাকে শবে বরাত বলা হয়) গোসল করা, ২. আরাফার রাত্রে গোসল কার, অর্থাৎ, জিলহজ্জ মাসের আট তারিখের দিবাগত রাত্রে গোসল করা, ৩. বৃষ্টির নামাযের জন্য গোসল করা, ৪. মক্কা মুয়াজ্জমা অথবা মদীনা মুনাওয়ারায় প্রবেশ করার জন্য গোসল করা, ৫. সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগহণের নামাযের জন্য গোসল করা, ৬. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার পর গোসলদাতার গোসল করা, ৭. কাফের ইসলাম ধর্ম গ্রহল করার পর গোসল করা।
প্রশ্নঃ তায়াম্মুম কি?
উত্তরঃ ওজু বা গোসলের অপারগতার যে কাজের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যায় তাই তায়াম্মুম।
প্রশ্নঃ তায়াম্মুম কখন করা যায়?
উত্তরঃ যখন পানি এক মাইল দূরে হয় অথবা কোন শত্রুর ভয়ে পানি আনতে না পারে অথবা পানি ব্যবহার করার দ্বারা অসুস্থ হয়ে যাবে কিংবা অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার প্রবল আশংকা হবে তখন তায়াম্মুম করা জায়েয।
প্রশ্নঃ কি বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করতে হয়?
উত্তরঃ তায়াম্মুম মাটি বা মাটি জাতীয় বস্তু দ্বারা করতে হয়।
প্রশ্নঃ তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ তায়াম্মুমের ফরজ তিনটি। (১) পাক হওয়ার নিয়্যাত করা। (২) সমস্ত মুখম-ল মাসাহ করা। (৩) উভয় হাত কনুইসহ মাসাহ করা।
প্রশ্নঃ তায়াম্মুম কি কি কারণে ভঙ্গ হয়?
উত্তরঃ যে সব কারণে ওযু ভঙ্গ হয়, তায়াম্মুমও সে সব কারণে ভঙ্গ হয়। তবে একটি কারণ বেশী আছে। তা হলো, সে কারণ হলো তায়াম্মুম অর্জন করার পর যদি সুস্থ শরীরে এই পরিমাণ পানি দেখে যা দ্বারা ওযু বা গোসল করা যায় এবং তাতে কোন অসুবিধা হবে না, তাহলে ঐ পানি দেখার সাথে সাথেই তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ ফরজ ইবাদতের মধ্যে সর্ব প্রথম ফরজ কি?
উত্তরঃ সালাত (নামায)।
প্রশ্নঃ নামায কত ওয়াক্ত ও কি কি?
উত্তরঃ নামায পাঁচ ওয়াক্ত, যথা ঃ (১) ফজর। (২) যোহর। (৩) আসর। (৪) মাগরিব (৫) এশা।
প্রশ্নঃ ফজরের নামাজের ওয়াক্ত কখন?
উত্তরঃ সুবহে সাদিক থেকে সূর্য উঠার পূর্বক্ষণ পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ যোহরের নামাজ কখন পড়তে হয়?
উত্তরঃ সূর্র্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ার সময় হতে কোন বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হবার পূর্ব পর্যন্ত যোহরের নামাজের সময়।
প্রশ্নঃ আসরের নামায পড়ার সময় কখন?
উত্তরঃ যোহরের নামায শেষ হওয়ার পর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ মাগরিবের নামায পড়ার সময় কখন?
উত্তরঃ সূর্যাস্ত যাবার পর হতে পশ্চিম আকাশে লালিমা বিরাজ করা পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ এশার নামায পড়ার সময় কখন?
উত্তরঃ সন্ধা বেলার লালিমা কেটে যাবার পর ভোরবেলা পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ নামাযের ভিতরে ও বাহিরে মোট কতটি ফরজ রয়েছে ও তা কি কি?
উত্তরঃ নামাযের ভিতরে ও বাহিরে মোট তেরটি ফরজ রয়েছে।
নামাযের বাহিরের সাত ফরজ। যথা ঃ ১। শরীর পাক। ২। কাপড় পাক। ৩। জায়গা পাক। ৪। সতর ঢাকা। ৫। কেবলামুখী হওয়া। ৬। ওয়াক্ত হওয়া। ৭। নিয়ত করা।
নামাযের ভিতরের মোট ছয় ফরজ।
১। তাকবীর তাহরীমা বলা। ২। দাঁড়িয়ে নামায পড়া। ৩। কেরাত পড়া। ৪। রুকু করা। ৫। দুই সেজদা করা। ৬। শেষ বৈঠকে বসা।
প্রশ্নঃ নামাযের ওয়াজীব কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ নামাযের ওয়াজীব ১৪টি। যথা ঃ ১। প্রতি রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা পড়া। ২। সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য কোনো সূরা মিলিয়ে পাঠ করা। ৩। রুকু ও সেজদার ক্রম ঠিক রাখা। ৪। দু’সেজদার মাঝখানে বসা। ৫। নামাজের আরকান গুলো আদায় করা। ৬। রুকু করার পর সোজা হয়ে দাঁড়ানো। ৭। তাশাহুদ পাঠ করা। ৮। তিন বা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দ্বিতীয় রাকাতের পর বসা। ৯। বিত্রের নামাজে দোয়ায়ে কুনূত পড়া। ১০। নামাযের মধ্যে তিলাওয়াতে সেজদা আসলে সেজদা দেওয়া। ১১। সেজদার সময় উভয় হাত ও হাঁটু মাটিতে রাখা। ১২। কেরাত যথার্থ স্থানে উঁচু এবং নীচু স্বরে তেলাওয়াত করা। ১৩। দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা। ১৪। আস্সালামু আলাইকুম বলে নামাজ সমাপ্ত করা।
প্রশ্নঃ ইমাম কাকে বলে?
উত্তরঃ নামাযে যিনি ইমামতি করেন তাকে ইমাম বলে।
প্রশ্নঃ মুক্তাদী কাকে বলে?
উত্তরঃ ইমামের পেছনে যিনি নামায পড়েন।
প্রশ্নঃ মুক্তাদী কত প্রকার?
উত্তরঃ মুক্তাদী তিন প্রকার। যথা ঃ ১। মুদরেক। ২। মাসবুক। ৩। লাহেক।
প্রশ্নঃ মুদরেক কে?
উত্তরঃ যে নামাযী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বরাবর ইমামের সাথ নামাযে শরীক থাকেন তাকে মুদরেক বলে।
প্রশ্নঃ মাসবুক কাকে বলে?
উত্তরঃ এক বা একাধিক রাকাত হয়ে যাবার পর যে নামাযী জামায়াতে শরীক হন তাকে মাসবুক বলে।
প্রশ্নঃ লাহেক কাকে বলে?
উত্তরঃ লাহেক এমন নামাযীকে বলে, যে জামায়েতে শরীক হলো বটে, কিন্তু শরীক হবার পর এক বা একাধিক রাকাত কোন কারণে নষ্ট হয়ে গেল তাকে লাহেক বলে।
প্রশ্নঃ সাহু সিজদা কি?
উত্তরঃ সাহু অর্থ ভূলে যাওয়া। ভূলে নামাযের মধ্যে (ওয়াজিবের ক্ষেত্রে) কিছু কম বেশী হয়ে গেলে ত্রুটি বিচ্যুতি হয় তা সংশোধনের জন্য নামাযের শেষ বৈঠকে দুটি সিজদা দেয়া ওয়াজিব হয়, তাকে সাহু সিজদা বলে।
প্রশ্নঃ সাহু সিজদা দেওয়ার নিয়ম কি?
উত্তরঃ নামাযের শেষ বৈঠকে ‘আত্তাহিয়্যাতু পড়ার’ পর ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে আল্লাহু আকবার বলে সেজদায় যেতে হয়। এবং তার পর যথা নিয়মে দুই সিজদা করে আবার আত্তাহিয়্যাতুতে বসে পড়বে।
প্রশ্নঃ কাযা নামায কি?
উত্তরঃ কোন ফরয অথবা ওয়াজিব নামাজ সময় মতো যদি পড়া না হয় এবং সময় উত্তীর্ণ হবার পর পড়া হয় তাকে কাযা নামাজ বলে। সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ও নফলের কোন কাযা নেই।
প্রশ্নঃ কখন নামায কসর পড়তে হয়?
উত্তরঃ যদি কেউ বাড়ী থেকে এমন স্থানে সফরের জন্য বের হয় যা তার বাড়ী বা বস্তি হতে ঐ স্থান তিন দিনের দূরত্বে, তাহলে কসর নামায পড়তে হবে। তিনদিনের দূরত্ব কিলোমিটার হিসেবে ৭৮ কিলোমিটার হবে। তাই বাড়ী থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বে গেলে কসর করতে হবে। তবে শর্ত হল ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করতে হবে।
প্রশ্নঃ সফরে ফরজের কসর পড়ার নিয়ম কি?
উত্তরঃ কসর শুধু ঐ সব নামাযে যা চার রাকাত ফরজ। যেমন- যোহর, আসর, এশা। যার মধ্যে দুই বা তিন রাকাত ফরজ তাতে কোন কম করা যাবে না।
প্রশ্নঃ জুমার নামাযে ফরজ কত রাকাত?
উত্তরঃ জুমার নামাযে ফরজ দু’রাকাত।
প্রশ্নঃ জুমার নামাজ ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত কি?
উত্তরঃ জুমার নামাজ ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত নিন্মরুপ ঃ
১। স্বাধীন হওয়া। ২। সুস্থ হওয়া। ৩। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া। ৪। জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া। ৫। পুরুষ হওয়া। ৬। মুকীম বা স্থায়ী হওয়া।
প্রশ্নঃ জুমার নামাজ আদায় হওয়ার জন্য শর্ত কি কি?
উত্তরঃ ১। জোহরের ওয়াক্ত হওয়া। ২। খোৎবা দেওয়া। ৩। বাদশাহ বা প্রতিনিধি উপস্থিত থাকা। ৪। জামাতে নামাজ হওয়া। ৫। শহর বা শহরতলী হওয়া। ৬। সকলের নামাজ পড়ার অনুমতি থাকা।
প্রশ্নঃ ঈদের নামাজ কার উপর ওয়াজিব?
উত্তরঃ জুমার নামাজ যে সকল মুসলমানের উপর ওয়াজিব, ঈদের নামাজও তাদের উপর ওয়াজিব।
প্রশ্নঃ আমরা কোন দিকে ফিরে নামায আদায় করি?
উত্তরঃ আমরা কা’বা শরীফের দিকে ফিরে নামায আদায় করি।
প্রশ্নঃ জানাযার নামায কি?
উত্তরঃ জানাযার নামায হচ্ছে মাইয়েতের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করা। এটি ফরজে কিফায়া।
প্রশ্নঃ ফরজে কিফায়ার অর্থ কী?
উত্তরঃ ফরজে কিফায়ার অর্থ হচ্ছে, ঐ এলাকার কিছু সংখ্যক লোক আদায় করলে বাকী সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ জানাযার নামায কখন আদায় করতে হয়?
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পূর্বে।
প্রশ্নঃ জানাযার নামাযের সুন্নাত গুলো কি কি?
উত্তরঃ জানাযার নামাজের সুন্নাত ৩টি। যথা ঃ- ১। আল্লাহর হামদ ও সানা পড়া। ২। নবী (সাঃ) এর উপর দুরুদ পড়া। ৩। মাইয়েতের জন্য দোয়া পড়া।
প্রশ্নঃ কোন কোন সময়ে নামায আদায় করা নিষেধ?
উত্তরঃ তিন সময়ে নামায আদায় করা নিষেধ। যথা ঃ ১। সূর্যোদয়ের সময়। ২। দ্বিপ্রহর তথা, সূর্য্য মাথার উপর সোজা থাকার সময়। ৩। সূর্যাস্তের সময়।
প্রশ্নঃ কোথায় দুই ওয়াক্তের জন্য একবার আযান দেওয়া হয়?
উত্তরঃ আরাফার ময়দানে।
প্রশ্নঃ নামায আদায় না করা কি ধরনের গুনাহ?
উত্তরঃ কবিরা গুনাহ।
প্রশ্নঃ নামায ভঙ্গের কারণ কয়টি?
উত্তরঃ নামায ভঙ্গের কারণ ১৯টি।
প্রশ্নঃ নামায ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি?
উত্তরঃ ১। নামাযে অশুদ্ধ পড়া। ২। দেখে দেখে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা। ৩। পানাহার করা। ৪। সালাম দেওয়া। ৫। সালামের উত্তর দেওয়া। ৬। কোন শব্দ করা। ৭। বিনা প্রয়োজনে কাশি দেওয়া। ৮। হাচির উত্তর দেওয়া। ৯। ইন্নালিল্লাহ পড়া। ১০। আলহামদু লিল্লাহ বলা। ১১। কেবলা দিক হতে সীনা ঘুরে যাওয়া। ১২। নাপাক স্থানে সেজদা করা। ১৩। পার্থিব জিনিস প্রার্থনা করা। ১৪। আমলে কাসীর করা। ১৫। দুগ্ধ পান ও চুম্বন করা। ১৬। নামাযের কোন ফরজ বাদ পড়া। ১৭। নামাযের কোন ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়া। ১৮। হাঁটাহাঁটি করা । ১৯। নামাযের মধ্যে কথা বলা। ২০। অচেতন হয়ে পড়লে। ২০। ইচ্ছা পূর্বক কাশি দিলে। ২২। কোন লেখা মুখে উচ্চরণ করে পড়লে। ২৩। অট্রহাসি দিলে। ২৪। অন্যদিকে ঘুরে দাড়ালে। ২৫। দুঃখের জন্য ক্রন্দন করলে।
প্রশ্নঃ সাওম শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ বিরত থাকা, পরিত্যাগ করা।
প্রশ্নঃ সাওম কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ সাওম ৬ প্রকার। যথা ঃ ১। ফরজ। ২। ওয়াজিব। ৩। সুন্নাত। ৪। নফল। ৫। মাকরুহ। ৬। হারাম।
প্রশ্নঃ সাওম কত দিন ফরজ?
উত্তরঃ সাওম পূর্ণ রমজান মাস ফরজ।
প্রশ্নঃ মুসলমানদের উপর সাওম ফরজ করা হয় কখন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় হিজরীর রমজান মাসে।
প্রশ্নঃ সাওম ফরজ করার উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ তাকওয়া অর্জন করা।
প্রশ্নঃ সাওম ফরজ হওয়া সম্পর্কে কোন সূরায় কত নম্বার আয়াতে নির্দেশ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা বাকারার ১৮৩ নং আয়াতে।
প্রশ্নঃ কোন সাওম পালন করা ওয়াজিব?
উত্তরঃ মান্নতের ও কাফ্ফারার সাওম।
প্রশ্নঃ বছরে কয় দিন ও কোন কোন দিন সাওম পালন করা নিষেধ?
উত্তরঃ বছরে পাঁচ দিন সাওম পালন করা নিষেধ। যথা ঃ ১। ঈদুল ফিতরের দিন। ২। ঈদুল আযহার দিন। ৩। যিলহজ্জ মাসের ১১,১২,১৩ তারিখ।
প্রশ্নঃ নফল রোজা কি কি?
উত্তরঃ ১। শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা। ২। সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোজা। ৩। শাবানের ১৪, ১৫ তারিখের রোজা। ৪। জিলহজ্জ মাসের ১-৯ তারিখের রোজা।
প্রশ্নঃ সাওম ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ সাওম ফরজ হওয়ার শর্ত ৪টি। যথা ঃ ১। মুসলমান হওয়া। ২। বালিগ হওয়া। ৩। আকল অর্থাৎ বুঝমান হওয়া। ৪। সক্ষম হওয়া।
প্রশ্নঃ সাওম ছহীহ হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ সাওম ছহীহ হওয়ার শর্ত ৩টি। যথা ঃ ১। মুসলমান হওয়া। ২। মহিলাদের হায়েজ থেকে পবিত্র হওয়া। ৩। নিয়ত করা।
প্রশ্নঃ সাওমের মধ্যে কতটি বিষয় থেকে বিরত থাকা ফরজ ও কি কি?
উত্তরঃ ৩টি বিষয় থেকে বিরত থাকা ফরজ। ১. কোন কিছু খাওয়া। ২. পান করা। ৩. যৌন বাসনা পুরা করা।
প্রশ্নঃ রোজাদারের জন্য সুন্নাত ও মুস্তাহাব কাজ কি?
উত্তরঃ ১. সেহরী খাওয়া। ২. সেহরী শেষ সময়ে খাওয়া। ৩. সেহরী খাওয়ার সাথে সাথে নিয়ত করা। ৪. খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করা। ৫. সকল গর্হিত কাজ হতে সংযমে থাকা।
প্রশ্নঃ রোজার কাফ্ফারা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ রোজা রেখে বিনা কারণে ভেঙ্গে ফেললে তা কাযা এবং কাফ্ফারা উভয়ই করতে হয়।
প্রশ্নঃ কাফ্ফারা কিরূপ?
উত্তরঃ রোজার কাফ্ফারা হলো- ১। একজন গোলাম কে আজাদ করা। ২। এতে অক্ষম হলে একধারে দু’মাস রোজা রাখা। ৩। এতে অক্ষম হলে ৬০ জন মিসকিন কে পরিতৃপ্তির সাথে দু’বেলা খাওয়ানো।
প্রশ্নঃ তারাবীহর নামায আদায় করা কি?
উত্তরঃ তারাবীহর নামায আদায় করা সুন্নাত।
প্রশ্নঃ ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
উত্তরঃ ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় যে ব্যক্তির হাতে জীবিকা নির্বাহের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ব্যতীত সাড়ে সাত তোলা সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা অথবা সমমূল্যের অন্যকোন সম্পদ থাকে তার উপর ফিতরা ওয়াজিব।
প্রশ্নঃ ফিতরার পরিমান কি?
উত্তরঃ মাথা পিছু নিসফে ‘সা’ অর্থাৎ প্রায় পৌনে দু’সের গম বা তার মূল্য।
প্রশ্নঃ ফিতরা কখন আদায় করতে হয়?
উত্তরঃ ঈদুল ফিতরের নামাযের পূর্বে।
প্রশ্নঃ রমজান মাসে ইবাদতের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করাকে কি বলে।
উত্তরঃ ইতিকাফ বলে।
প্রশ্নঃ ইতিকাফ করার সময় কি কি কাজ করা মুস্তাহাব?
উত্তরঃ ১. যিকির করা। ২. কুরআন তিলাওয়াত করা। ৩. দুরুদ শরীফ পড়া। ৪. দ্বীনি সম্পর্কে পড়াশুনা করা। ৫. দ্বীন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা।
প্রশ্নঃ হজ্জ ইসলামের কততম স্তম্ব?
উত্তরঃ হজ্জ ইসলামের চতুর্থতম স্তম্ব।
প্রশ্নঃ হজ্জ কাকে বলে?
উত্তরঃ নিদৃষ্ট নিয়মে, নিদির্ষ্ট সময়ে, কতগুলো কার্যাবলীর মাধ্যমে কা’বা শরীফ ও অন্যান্য নিদির্ষ্ট স্থান প্রদক্ষিণ করাকে হজ্জ বলে।
প্রশ্নঃ হজ্জের মূলসময় কখন?
উত্তরঃ জিলহজ্জ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ হজ্জ কাদের জন্য ফরজ?
উত্তরঃ যার নিকট মক্কা শরীফ থেকে হজ্জ করে ফিরে আসা পর্যন্ত পরিবারের আবশ্যকীয় খরচ বাদে মক্কা শরীফ যাতায়াতের মোটামুটি খরচ পরিমাণ অর্থ থাকে তার উপর হজ্জ ফরয।
প্রশ্নঃ হজ্জের ফরজ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ হজ্জের ফরজ ৩টি। যথা ঃ ১. ইহরাম বাঁধা। ২. আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। ৩. ঊায়তুল্লাহ-এর তাওয়াফে জিয়ারত করা।
প্রশ্নঃ হজ্জের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ হজ্জের ওয়াজিব ৭টি। যথা ঃ ১. মীকাত হতে ইহরাম বাঁধা। ২. আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা। ৩. মুজদালিফার প্রান্তরে রাত যাপন করা। ৪. আইয়্যামে তাশরীকের রাতগুলো মিনায় কাটানো। ৫. মাথা মুন্ডানো বা পূর্ণমাথার সমস্ত চুলের আগা কেটে ফেলা। ৬. তিন জামরায় পাথর নিক্ষেপ করা। ৭. বিদায়ী তাওয়াফ করা।
প্রশ্নঃ ইহরাম বাঁধার স্থানকে কি বলে?
উত্তর ঃ ইহরাম বাঁধার স্থানকে মীকাত বলে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশীদের জন্য মীকাত কোনটি?
উত্তরঃ ইয়ালামলাম নামক স্থান।
প্রশ্নঃ হাজীরা পাথর নিক্ষেপ করে কোথায়?
উত্তরঃ জামারাতে।
প্রশ্নঃ আরাফায় অবস্থান করাকে কি বলে?
উত্তরঃ উকুফে আরাফা বলে।
প্রশ্নঃ পাথর নিক্ষেপ করা হাজীদের জন্য কি ধরনের কাজ?
উত্তরঃ ওয়াজিব কাজ।
প্রশ্নঃ ইহরাম থেকে হাজীরা মুক্তি লাভ করে কোন তারিখে?
উত্তরঃ ১০ই জিলহজ্জ।
প্রশ্নঃ হজ্জের সময় কোন পর্বতের মধ্যে কতবার দৌঁড়াতে হয়?
উত্তরঃ সাফা ও মারওয়া পর্বতের মধ্যে সাত বার দৌঁড়াতে হয়।
প্রশ্নঃ হজ্জের সময় কোথায় কুরবানী দিতে হয়?
উত্তরঃ মিনায়।
প্রশ্নঃ কোথায় হাজীরা উম্মুক্ত আকাশের নিচে রাত যাপন করে?
উত্তরঃ মুজদালিফায়।
প্রশ্নঃ হজ্জের মীকাত কয়টি ও কি কি?
উত্তর ঃ হজ্জের মীকাত ৫টি। যথা ঃ ১. যুলহুলায়ফা। ২. যাতে ইরাক। ৩. যুহফাহ। ৪. কারনুল মানাযেল। ৫. ইয়ালামলাম।
প্রশ্নঃ হজ্জ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ হজ্জ তিন প্রকার। যথা ঃ ১. ইফরাদ। ২. তামাত্তু। ৩. কিরাণ।
প্রশ্নঃ উমরার জন্য নির্দিষ্ট কোন তারিখ আছে কি না?
উত্তরঃ না উমরার জন্য নির্দিষ্ট কোন তারিখ নেই। তবে জিলহজ্জ মাসের ৯ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত এই পাঁচ দিন উমরা করা যায় না।
প্রশ্নঃ আশহুরে হজ্জ বলতে কোন কোন মাসকে বুঝানো হয়?
উত্তরঃ শাওয়াল, যিলকাদ, যিলহজ্জ মাসকে বুঝানো হয়।
প্রশ্নঃ বিদায় হজ্জের ভাষণ মহানবী (সাঃ) কোথায় দিয়েছিলেন?
উত্তর ঃ আরাফার ময়দানে।
প্রশ্নঃ বিদায়ী তাওয়াফ কোন শ্রেণীর হাজীদের জন্য করতে হয়?
উত্তরঃ বহিরাগত হাজীদের জন্য।
প্রশ্নঃ একই ইহরামে উমরা ও হজ্জ করাকে কি বলে?
উত্তরঃ হজ্জে কিরান বলে।
প্রশ্নঃ জান্নাতুল বাকি কি?
উত্তরঃ মদীনা শরীফের একটি গোরস্থান।
প্রশ্নঃ শয়তানকে কংকর নিক্ষেপের ও কুরবানী করার স্থান কোথায়?
উত্তরঃ মীনা প্রান্তরে।
প্রশ্নঃ আরাফার ময়দান কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ মক্কা শরীফ হতে ৮/৯ মাইল দূরে।
প্রশ্নঃ কোন পাহাড়কে জাবালে রহমত বলা হয়?
উত্তরঃ আরাফার ময়দান সন্নিহিত সেই পাহাড়কে, যেখানে দাড়িয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজ্জের ভাষণ দিয়েছিলেন।
প্রশ্নঃ বর্তমানে হাজরে আসওয়াদ কোথায় আছে?
উত্তরঃ পবিত্র কাবা গৃহের দক্ষিণ-পূর্ব কোণের দেয়ালে গাঁথা অবস্থায় রক্ষিত আছে।
প্রশ্নঃ তাওয়াফ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ তাওয়াফ ৪ প্রকার। যথা ঃ ১. তাওয়াফে কুদুম। ২. তাওয়াফে যিয়ারত। ৩. তাওয়াফে বিদা। ৪. তাওয়াফে উমরা।
প্রশ্নঃ কোন স্থান থেকে কিভাবে তাওয়াফ শুরু করতে হয়?
উত্তরঃ হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করতে হয় এবং খানায়ে কা’বা বাম পাশে রেখে সামনে অগ্রসর হতে হয়।
প্রশ্নঃ ইজতিবা কাকে বলে?
উত্তরঃ গায়ের চাদরকে ডান বগলেন নীচ দিয়ে ডান কাঁধ খালি রেখে বাম কাঁধের ওপর চাদরের দু’মাথা ফেলাকে ইযতিবা বলে।
প্রশ্নঃ কোন কোন তাওয়াফে ইযতিবা করতে হয়?
উত্তরঃ যে সমস্ত তাওয়াফের পর সাঈ আছে।
প্রশ্নঃ হাজরে আসওয়াদ কি?
উত্তরঃ হাজরে আসওয়াদ সেই বেহেশতী পাথর যাতে চুম্বন করলে তা সমস্ত গুনাহ চুষে নেয়।
প্রশ্ন কোন পাথরকে মাকামে ইবরাহীম বলে?
উত্তরঃ হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর কদম মুবারকের চি‎িহ্নত সেই পাথরকে যার উপর দাঁড়িয়ে তিনি কা’বা ঘর নির্মাণ করেছিলেন।
প্রশ্নঃ হজ্বের কোন ফরয অনাদায় থাকলে হজ্জ হবে কি?
উত্তরঃ না। হজের একটি ফরজও অনাদায় থাকলে আদৌ হজ্জ হবে না।
প্রশ্নঃ ‘হাতীম’ কাকে বলে?
উত্তর ঃ কা‘বা ঘরের উত্তর দিকের অর্ধ-চন্দ্রাকৃতি দেয়াল ঘেরা বারান্দাকে হাতীম বলে।
প্রশ্নঃ গারে-হেরা কি?
উত্তর ঃ মক্কার অনতিদূরে অবস্থিত ‘হেরা’ নামক পর্বতের একটি গুহা। এখানে হুযূর (সাঃ) ধ্যান-মগ্ন অবস্থায় অনেকদিন কাটিয়েছেন এবং এখানেই তাঁর উপর সর্বপ্রথম ‘ওহী’ নাযিল হয়।
প্রশ্নঃ ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার মূল ভিত্তি কি?
উত্তরঃ যাকাত।
প্রশ্নঃ কি পরিমান সম্পদ থাকলে যাকাত দিতে হয়?
উত্তরঃ কমপক্ষে সাড়ে সাত তোলা সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য অথবা এর সমপরিমান মূল্যের সম্পদ থাকলে যাকাত দিতে হয়।
প্রশ্নঃ সাহেবে নেসাব বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ সাত তোলা সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য অথবা সমপরিমান সম্পদ যার কাছে থাকবে তিনিই সাহেবে নিসাব।
প্রশ্নঃ যাকাত কার ওপর ফরজ?
উত্তরঃ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য অথবা এর সমপরিমান অর্থ কে বলা হয় মালে নিসাব। কোন নারী বা পুরুষের যদি তার প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, বাড়ী ও জায়গা-জমি ব্যতিত নেসাব পরিমান বা ততোধিক সম্পদ থাকে এবং উক্ত সম্পদ এক বছর অথবা বছরের শুরুতে এবং শেষে তার মালিকানাধিন থাকে, তাহলে এমন ব্যক্তির উপর বছরে একবার যাকাত আদায় করা ফরজ হবে।
প্রশ্নঃ যাকাতের হার কত?
উত্তরঃ শতকরা আড়াই টাকা (চল্লিশ ভাগের এক ভাগ)।
প্রশ্নঃ যাকাত ফরজ হওয়ার শর্তাবলী?
উত্তরঃ ১. মুসলমান হওয়া। ২. স্বাধীন হওয়া। ৩. বালেগ হওয়া। ৪. আকেল হওয়া। ৫. নিসাব পরিমান সম্পদ থাকা। ৬. পুর্ণাঙ্গ মালিক হওয়া। ৭. নেসাব পরিমাণ মাল নিজ প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে অতিরিক্ত ও ঋণমুক্ত হওয়া। ৮. নেসাবের মালিক হওয়ার পর সেই মালের এক বছর অতিবাহিত হওয়া।
প্রশ্নঃ যাকাত ব্যয়ের খাত কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ বর্তমানে যাকাত খরচ করার স্থান ৪টি।
১. ফকির। অর্থাৎ এমন ব্যক্তি যার নিকট অল্প পরিমাণ জিনিসপত্র আছে কিন্তু নেসাব পরিমাণ নয়।
২. মিসকীন। অর্থাৎ এমন ব্যক্তি যার নিকট কিছুই নেই।
৩. ঋণগ্রস্থ। অর্থাৎ এমন ব্যক্তি যার দ্বায়িত্বে অপরের ঋণ রয়েছে এবং ঋণের অবিরিক্ত যে মাল আছে তা নেসাব পরিমাণ নহে
৪. মুসাফির। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ভ্রমণাবস্থায় অর্থশূণ্য হয়ে গেছে তাকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী যাকাত দেওয়া জায়েয আছে।
প্রশ্নঃ কারা যাকাত পাবে না?
উত্তরঃ ১. পিতা মাতা, দাদা-দাদী, নান-নানী, ও তাদের পিতা মাতা। ২. সন্তান, নাতি, নাতনি, প্রপৌত্র। ৩. স্বামী। ৪. স্ত্রী। ৫. বনি হাশেম। ৬. অমুসলীম। ৭. যাদের ভরন-পোষনের দায়িত্বশীল আছে। ৮. সাহেবে নিসাব। ৯. সাহেবে নিসাবের নাবালেগ সন্তান।
প্রশ্নঃ কোন কোন মালের যাকাত দিতে হবে?
উত্তরঃ ১. নগদ অর্থ। ২. পশু সম্পদ। ৩. সোনা-রৌপ্য। ৪. ব্যবসার পণ্য। ৫. ফল ফসল। ৬. খনিজ সম্পদ। ৭. মধু। ৮. গুপ্তধন। ৯. ব্যাংক ডিপোজিট ইত্যাদি ধরণের সম্পদের যাকাত দিতে হয়।
প্রশ্নঃ কোন মালের ওপর যাকাত ওয়াজিব হয় না?
উত্তরঃ ১. বসবাস করার ঘর। ২. পরিধেয় বস্ত্র। ৩. ঘরের আসবাব পত্র। ৪. আরোহনের প্রাণী। ৫. সেবার দাস। ৬. ব্যবহারিক অস্ত্র। ৭. ভাড়ায় দেয়া দ্রব্যাদি যেমন- বাড়ী, গাড়ী ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ স্বর্ণের যাকাতের নিসাব কত?
উত্তরঃ বিশ মিসকাল বা সাড়ে সাত ভরি।
প্রশ্নঃ রৌপ্যের যাকাতের নিসাব কত?
উত্তরঃ রৌপ্যের যাকাতের নিসাব ২০০ দিরহাম বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা।
প্রশ্নঃ জিহাদ শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ জিহাদ শব্দের অর্থ প্রানান্তর প্রচেষ্টা।
প্রশ্নঃ জিহাদ কার পথে করতে হবে?
উত্তরঃ জিহাদ আল্লাহর পথে করতে হবে।
প্রশ্নঃ মুমিন কার পথে লড়াই করে?
উত্তঃ আল্লাহর পথে।
প্রশ্নঃ যারা জিহাদে প্রাণ দেন তাদেরকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ শহীদ।
প্রশ্নঃ “নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ হল বৃহত্তর জিহাদ” এটি কার বানী?
উত্তরঃ মহানবী (সাঃ) এর বানী।
প্রশ্নঃ যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে তাদেরকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ তাদেরকে মুজাহিদ বলা হয়।
প্রশ্নঃ রাসূল কে?
উত্তর ঃ রাসূল আল্লাহ তা’আলার বান্দা এবং মানুষ হয়ে থাকেন। আল্লাহ তা’আলা নিজ বান্দাদের নিকট বিধানাবলি পোঁছানোর জন্য তাদেরকে নিযুক্ত করে দিয়েছেন। তাঁরা সত্যবাদী হন। কখনো তাঁরা মিথ্যা বলেন না। পাপ কাজ করেন না। আল্লাহ্ তা‘আলার বার্তা পরিপূর্ণভাবে পৌঁছিয়ে দিতেন। তার মধ্যে কম-বেশি করতেন না এবং কোন বার্তাকে গোপন করতেন না।
প্রশ্নঃ নবী অর্থ কী?
উত্তরঃ নবী অর্থ এটাই যে, তিনি আল্লাহ তা’আলার বান্দা এবং মানুষ হন । আল্লাহ তা’আলার নির্দেশাবলি বান্দাদের নিকট পৌঁছান । কখনো মিথ্যা বলেন না এবং পাপ কাজ করেন না। আল্লাহ তা’আলার বিধানবলির মধ্যে কম বেশি করেন না।
প্রশ্নঃ রাসূল এবং নবীর সংখ্যায় কতজন?
উত্তরঃ জগতের মাঝে অনেক নবী এবং রাসূল এসেছেন। কিন্তু তাদের সঠিক সংখ্যা আল্লাহ তাআলাই জানেন। আমাদের শুধু এই ভাবে ঈমান আনা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা যত রাসূল পাঠিয়েছেন, আমরা তাদের সকলকে সত্যবাদী রাসূল হিসেবে মানব।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম কে ছিলেন?
উত্তরঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তা’আলার বান্দা ও তার রাসূল ছিলেন। আমরা তার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্নঃ হযরত আদম (আঃ) কে?
উত্তরঃ পৃথিবীর প্রথম মানুষ ও নবী।
প্রশ্নঃ হযরত আদম (আঃ) কি থেকে সৃষ্টি?
উত্তরঃ হযরত আদম (আঃ) মাটি থেকে সৃষ্টি।
প্রশ্নঃ হাওয়া (আঃ) কি থেকে সৃষ্টি?
উত্তরঃ হযরত আদম (আঃ) এর শরীরের অঙ্গ হতে।
প্রশ্নঃ হযরত আদম (আঃ) এর প্রথম বাসস্থান কোথায়?
উত্তরঃ জান্নাতে।
প্রশ্নঃ হযরত আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) পৃথিবীর কোন স্থানে অবতরণ করেন?
উত্তরঃ হযরত আদম (আঃ) শ্রীলংকায় এবং হাওয়া (আঃ) আরবের আরাফা অঞ্চলে।
প্রশ্নঃ কত দিন পর আদম-হাওয়ার মিলন হয়?
উত্তরঃ ৩৫০ বছর পর।
প্রশ্নঃ কোথায় আদম-হাওয়ার সাক্ষাত হয়?
উত্তরঃ মক্কার আরাফাত ময়দানে।
প্রশ্নঃ হযরত আদম (আঃ) এর শারীরিক গঠন কেমন ছিল?
উত্তরঃ উচ্চতায় ৬০ হাত ও প্রস্থে ৭ হাত।
প্রশ্নঃ কা’বা ঘরের প্রথম ভিত্তি কে স্থাপন করেন?
উত্তরঃ হযরত আদম (আঃ)।
প্রশ্নঃ হযরত নূহ (আঃ)-কে কি বলা হয়?
উত্তরঃ দ্বিতীয় আদম।
প্রশ্নঃ পৃথিবী ব্যাপি বন্যা হয় কার আমলে?
উত্তরঃ হযরত নূহ (আঃ) এর আমলে।
প্রশ্নঃ হযরত নূহ (আঃ) এর নৌকার আয়তন কত ছিল?
উত্তরঃ দৈর্ঘে ৩০০ হাত, প্রস্থে ৫০ হাত, এবং উচ্চতায় ২০ হাত।
প্রশ্নঃ বন্যার পর হযরত নূহ (আঃ) এর নৌকা কোথায় অবতরণ করে?
উত্তরঃ জুদী পর্বতে।
প্রশ্নঃ হযরত নূহ (আঃ) কত বছর জীবিত ছিলেন?
উত্তরঃ প্রায় ১০৫০ বছর।
প্রশ্নঃ হযরত নূহ (আঃ) এর দাওয়াতে কতজন লোক ইসলামের ছায়াতলে আসেন?
উত্তরঃ ৪০ জন।
প্রশ্নঃ হযরত হুদ (আঃ) কোন জাতির জন্য প্রেরিত হন?
উত্তরঃ আদ জাতীর জন্য।
প্রশ্নঃ আদ জাতির কোন ব্যক্তি খোদা দাবী করেন?
উত্তরঃ শাদ্দাত।
প্রশ্নঃ হুদ (আঃ) এর জাতির প্রতি কোন গযব নাযিল হয়?
উত্তরঃ প্রথমে অনাবৃষ্টি, পরে আট দিন সাত রাত অনবরত ঝড় তুফানের ভয়ংকর গযব নাযিল হয়।
প্রশ্নঃ হযরত ইদ্রিস (আঃ) এর রূহ কোথায় কবজ করা হয়?
উত্তরঃ চতুর্থ আসমানে।
প্রশ্নঃ কোন নবী মানব জাতিকে সর্ব প্রথম অক্ষর জ্ঞান দান করেন?
উত্তরঃ হযরত ইদ্রিস (আঃ)।
প্রশ্নঃ কোন নবীকে আবুল আম্বিয়া বা বহু নবীর পিতা বলা হয়?
উত্তরঃ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে আবুল আম্বিয়া বা বহু নবীর পিতা বলা হয়।
প্রশ্নঃ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কোথায় জন্ম গ্রহন করেন?
উত্তরঃ ইরাকে।
প্রশ্নঃ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর আমলের অভিশপ্ত রাজার নাম কি?
উত্তরঃ নমরুদ।
প্রশ্নঃ কুখ্যাত নমরুদের মৃত্যু হয় কিভাবে?
উত্তরঃ মাথার ভিতরে একটি পা ভাঙ্গা মশার কামড়ে।
প্রশ্নঃ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর উপাধি কি ছিল?
উত্তরঃ খলীলুল্লাহ বা আল্লাহর বন্ধু।
প্রশ্নঃ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কাকে কুরবানী করতে আল্লাহর নির্দেশ পেয়েছিলেন?
উত্ত ঃ নিজ পুত্র হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে।
প্রশ্নঃ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কত বছর জীবিত ছিলেন?
উত্তরঃ ১৭৫।
প্রশ্নঃ হযরত লুত (আঃ) কে ছিলেন?
উত্তরঃ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর ভ্রাতুস্পুত্র। এবং আল্লাহর একজন নবী।
প্রশ্নঃ হযরত লুত (আঃ) এর কওমের নাম কি?
উত্তরঃ সামূদ।
প্রশ্নঃ হযরত লুত (আঃ) এর কওমের উপর কেমন আযাব অবতীর্ণ হয়?
উত্তরঃ তাদের বাসস্থান এলাকা সম্পূর্ন উল্টিয়ে সাগরে পরিনত করে দেওয়া হয়েছিল। যেই সাগর কে বর্তমানে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়।
প্রশ্নঃ কোন নবী আল্লাহর ভয়ে এত বেশী কেঁেদ ছিলেন যে তার সুন্দর চেহারায় পানির দাগ বসে গিয়ে ছিল?
উত্তর ঃ হযরত ইস্হাক (আঃ)।
হযরত ইয়াকুব (আঃ)
প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর নাম কয়টি স্থানে উল্লেখিত হয়েছে?
উত্তরঃ ১০টি স্থানে।
প্রশ্নঃ হযরত ইয়াকুব (আঃ) কোথায় ধর্ম প্রচার করেছিলেন?
উত্তরঃ কেনানে।
প্রশ্নঃ হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর সর্ব কনিষ্ট পুত্রের নাম কি?
উত্তরঃ হযরত ইয়াকুব (আ) এর সর্ব কনিষ্ট পুত্রের নাম বিন্ইয়ামিন।
প্রশ্নঃ হযরত ইউসুফ (আঃ) এর জীবনের ঘটনাকে কোনআনে কি নামে অবিহিত?
উত্তরঃ আহসানুল কাসাস তথা উত্তম কাহিনী।
প্রশ্নঃ আযীযের কোন নিকটাত্মীয় হযরত ইউসুফ (আঃ) এর প্রেমে আসক্ত হয়?
উত্তরঃ আযীযের পতœী যুলাইখা।
প্রশ্নঃ নবীদের মধ্যে সর্বপেক্ষা সুশ্রী ছিলেন কে?
উত্তরঃ হযরত ইউসুফ (আঃ)।
প্রশ্নঃ হযরত ইউসুফ (আঃ) এর শোকে তার পিতার কি অবস্থা হয়ে ছিল?
উত্তরঃ পুত্রের শোকে পিতা ইয়াকুব (আঃ) কেঁেদ কেঁেদ অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
প্রশ্নঃ শৈশবে হযরত ইউসুফ (আঃ) কি স্বপ্ন দেখেছিলেন?
উত্তরঃ এগারোটি নক্ষত্র এবং চন্দ্র ও সূর্য তাকে সেজদা করছে।
প্রশ্নঃ হযরত ইউসুফ (আঃ) কত বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন?
উত্তরঃ ১১০ বছর।
প্রশ্নঃ তার দাফন কোথায় করা হয়।
উত্তরঃ ফিলিস্তিনে।
প্রশ্নঃ হযরত শু’আইব (আঃ) কোথাকার নবী ছিলেন?
উত্তরঃ মাদায়েন নামক এলাকায়।
প্রশ্নঃ হযরত শু’আইব (আঃ) এর কওম কেমন ছিল?
উত্তরঃ পৌত্তলিক।
প্রশ্নঃ তাদের প্রতি কোন ধরনের আযাব অবতীর্ণ হয়েছিল?
উত্তরঃ ভূমিকম্প এবং অগ্নিবর্ষণ।
প্রশ্নঃ হযরত শু’আইব (আঃ) এর কবর কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ হাযরা মাউত এলাকায়।
প্রশ্নঃ হযরত মূসা (আঃ) কোন বাদশার আমলে এবং কোথায় জন্ম গ্রহন করেন?
উত্তরঃ কুখ্যাত দ্বিতীয় রামেসিসের (ফেরআউন) আমলে মিশরে জন্ম গ্রহন করেন।
প্রশ্নঃ রামেসিসকে কুরআনে কি নামে উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ ফেরআউন নামে।
প্রশ্নঃ হযরত মূসা (আঃ) এর প্রতি আল্লাহর কোন কিতাব নাযিল করা হয় এবং তার অর্থ কি?
উত্তরঃ তাওরাত যার অর্থ হল ‘আইন’।
প্রশ্নঃ কোন দুর্যোগময় মুহুর্তে তাঁর জন্ম হয়?
উত্তরঃ যখন মিশর স¤্রাট ফেরআউন ইস্রাঈল বংশের বালক ও সদ্য প্রসূত শিশুদের হত্যা করছিল।
প্রশ্নঃ ফেরআউন কর্তৃক ইস্্রাঈলী শিশু-সন্তানদের হত্যার কারণ কি?
উত্তরঃ জনৈক ইস্্রাঈলী বালকের হাতে তার স¤্রাজ্যের পতন হবে বলে।
প্রশ্নঃ কোন নবী আল্লাহর সাথে সরাসরি কথা বলেছিলেন?
উত্তরঃ হযরত মূসা (আঃ)।
প্রশ্নঃ এ জন্য তাকে কি উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তরঃ কালীমুল্লাহ।
প্রশ্নঃ কোন পর্বতে তিনি আল্লাহর সাথে কথা বলেছিলেন?
উত্তরঃ ‘তুর’ পর্বতে।
প্রশ্নঃ কোন নবীর লাঠি সাপে পরিবর্তন হয়?
উত্তরঃ হযরত মূসা (আঃ) এর লাঠি।
প্রশ্নঃ ফেরাআউন ও তার দলবলের উপর কত প্রকারের আযাব এসেছিল?
উত্তরঃ দুর্ভিক্ষ, ফলমুল বিনষ্ট, তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত-এ সাত প্রকারের আযাব এসেছিল।
প্রশ্নঃ হযরত মূসা (আ) কিভাবে মিশর ত্যাগ করেন এবং অভিশাপ্ত ফেরআউন ও তার দলবল কিভাবে ধংসপ্রাপ্ত হয়?
উত্তরঃ হযরত মূসা (আঃ) ৪০ হাজার বনী ইস্্রাঈলসহ মিশর ত্যাগ করে লোহিত সাগরের তীরে এসে হাতের লাঠি সমুদ্রে মারার সাথে সাথেই তা দু’ফাঁক হয়ে পথ করে দেয় এবং হযরত মূসা (আঃ) তার সঙ্গী-সাথীসহ নির্বিঘেœ সমুদ্র অতিক্রম করেন। কিন্তু ফেরআউন ও তার দলবল তাঁর পশ্চাদ্ধাবরন করলে মাঝ পথে এসে সবাই ডুবে মারা যায়।
প্রশ্নঃ কোন নবী মহাপ্রলয়ের প্রথম সিঙ্গার ফুৎকারের সময় সজ্ঞান অবস্থায় থাকবেন?
উত্তরঃ হযরত মূসা (আঃ)।
প্রশ্নঃ হযরত মূসা (আঃ) কত বছর জীবিত ছিলেন?
উত্তরঃ ১২০ বছর।
প্রশ্নঃ বর্তমানে ফেরআউনের লাশ কোথায় রক্ষিত আছে?
উত্তরঃ মিশরের রাজধানীন কায়রোর যাদুঘরে।
প্রশ্নঃ হযরত ইউনুস (আঃ) কোথায় নবী হিসেবে প্রেরিত হন?
উত্তরঃ নীনাওয়ায় (নিনীভা)।
প্রশ্নঃ নীনাওয়ার পূর্ব নাম কি?
উত্তরঃ দামেশ্ক।
প্রশ্নঃ হযরত ইউনুস (আঃ) কত বছর বয়সে নবুয়ত প্রাপ্ত হন?
উত্তরঃ ২৮ বছর বয়সে।
প্রশ্নঃ হযরত ইউনুস (আঃ) কে আল্লাহর হুকুমে কোন প্রানী গিলে ফেলেছিল।
উত্তরঃ মাছ।
প্রশ্নঃ কোন দোয়া পড়ার কারণে তিনি মাছের পেট থেকে নিষ্কৃতি পান।
উত্তরঃ দোয়ায়ে ইউনুস।
প্রশ্নঃ দোয়ায়ে ইউনুস কী?
উত্তরঃ দোয়ায়ে ইউনুস হল- لاَ اِلهَ اِلاَّ اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّيْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ
(উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জালিমীন)
প্রশ্নঃ হযরত ইউনুস (আঃ) এর দোয়ায় আল্লাহ কি গযব দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নীনাওয়া শহরে পানির বদলে আগুন বর্ষিত হয়েছিল।
প্রশ্নঃ কোন জাতির হেদায়েতের জন্য হযরত দাঊদ (আঃ) নবী হিসেবে মনোনিত হয়েছিলেন?
উত্তরঃ অভিশপ্ত ইস্্রাঈল জাতির।
প্রশ্নঃ হযরত দাঊদ (আঃ) এর জীবিকা উপার্যনের মাধ্যম কি ছিল?
উত্তরঃ লৌহ-বর্ম নির্মাণ ও বিক্রয় করা।
প্রশ্নঃ কোন মহামানবের হাতের পরশে শক্ত লোহা নরম হয়ে যেত?
উত্তরঃ হযরত দাঊদ (আঃ)।
প্রশ্ন ঃ হযরত দাঊদ (আঃ) এর প্রতি আল্লাহর কোন কিতাব নাযিল হয়?
উত্তরঃ যাবুর।
প্রশ্নঃ কোন নবীর সঙ্গে পাহাড়, তরুলতা, পশুপাখি প্রভৃতি উপাসনায় যোগদান করতো?
উত্তরঃ হযরত দাঊদ (আঃ) এর সঙ্গে।
প্রশ্নঃ হযরত দাঊদ (আঃ) এর কবর কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ জেরুযালেমের দক্ষিন-পশ্চিম সীমান্তে।
প্রশ্নঃ হযরত সুলাইমান (আঃ) জেরুযালেমের সিংহাসনে বসেন কবে?
উত্তরঃ ৯৩৭ খৃষ্ট পূর্বাব্দে।
প্রশ্নঃ তিনি কত বছর রাজত্ব করেছিলেন?
উত্তরঃ ৩৭ বছর।
প্রশ্নঃ কোন নবী পশু পাখি জ্বিন ইত্যাদির বাদশাহ ছিলেন?
উত্তরঃ হযরত সুলাইমান (আঃ)।
প্রশ্নঃ কোন রানী গভীর পরীক্ষার পরে হযরত সুলাইমান (আঃ) এর প্রতি ঈমান এনেছিলেন?
উত্তরঃ সাবার রানী (বিলকিস)।
প্রশ্নঃ বিলকিসের রাজ্য কোথায় ছিল?
উত্তরঃ সাবা গোত্রে (দক্ষিন আরবে)।
প্রশ্নঃ হযরত সুলাইমান (আঃ) এর বৈশিষ্ট কি ছিল?
উত্তরঃ হযরত সুলাইমান (আঃ) এর বৈশিষ্ট হলো- তিনি পশু-পাখির ‘বুলি’ বুঝতেন, বাতাস তার বাধ্য ছিল, জ্বিন ও অন্যান্ন প্রানী তার বশীভূত ছিল।
প্রশ্নঃ হযরত ঈসা (আঃ) কোন নবীর পূর্বে পৃথিবীতে এসেছিলেন?
উত্তরঃ শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পূর্বে।
প্রশ্নঃ কোন নবীর পিতা ছিল না?
উত্তরঃ হযরত ঈসা (আঃ) এর।
প্রশ্নঃ তিনি কত বছর বয়সে নবুয়ত প্রাপ্ত হন?
উত্তরঃ ৩০ বছর বয়সে নবুয়ত প্রাপ্ত হন।
প্রশ্নঃ হযরত ঈসা (আঃ) এর উপাধি কি ছিল?
উত্তরঃ রূহুল্লাহ।
প্রশ্নঃ খৃষ্টানরা হযরত ঈসা (আঃ) কে কি নামে অভিহিত করে?
উত্তরঃ আল্লাহর পুত্র নামে।
প্রশ্নঃ হযরত ঈসা (আঃ) এখন কোথায় অবস্থান করছেন?
উত্তরঃ আসমানে।
প্রশ্নঃ কোন নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উম্মত হয়ে পুনরায় দুনিয়াতে আসবেন?
উত্তরঃ হযরত ঈসা (আঃ)।
প্রশ্নঃ কোন নবী মৃত প্রানীকে আল্লাহর হুকুমে জীবিত করতেন?
উত্তরঃ হযরত ঈসা (আঃ)।
প্রশ্নঃ কোন নবী কাদা মাটি নিয়ে পাখি তৈরী করে তাতে ফুঁক দেওয়ার সাথে সাথেই তা আল্লাহর হুকুমে জ্যান্ত পাখী হয়ে উড়ে যেত?
উত্তরঃ হযরত ঈসা (আঃ)।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ছিলেন?
উত্তরঃ আল্লাহর সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী।
প্রশ্নঃ তিনি কবে এবং কোথায় জন্ম গ্রহন করেন?
উত্তরঃ তিনি ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে আরবের মক্কা নগরীতে জন্ম গ্রহন করেন।
প্রশ্নঃ তাঁর পিতা-মাতার নাম কি?
উত্তরঃ তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ ও মাতার নাম আমিনা।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম কোন মহিয়সী নারীর দুধ পান করেন?
উত্তরঃ হযরত মা হালীমার।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর উপাধি কি?
উত্তরঃ আল-আমীন।
প্রশ্নঃ তিঁনি কত বছর বয়সে প্রথম বিবাহ করেন?
উত্তরঃ ২৫ বছর বয়সে।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রথমা স্ত্রী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন কে?
উত্তরঃ হযরত খাদিজা (রাদি.)।
প্রশ্নঃ কোন নবীর সিনাচাক করা হয়েছিল?
উত্তরঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর।
প্রশ্নঃ সিরিয়া ভ্রমনের সময় হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে দেখে ‘রাসূল’ বলে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন কে?
উত্তরঃ বোহাইরা নামক জনৈক পাদ্রি।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত বছর বয়সে নবুয়ত প্রাপ্ত হন?
উত্তরঃ ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত প্রাপ্ত হন।
প্রশ্নঃ তিঁনি মদীনা নগরে পৌঁছে প্রথমে কার গৃহে প্রবেশ করেন?
উত্তরঃ হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) এর গৃহে।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম জুম’আর নামায কখন এবং কোথায় পড়েছিলেন?
উত্তরঃ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত কালে বনী সালেম মহল্লায়।
প্রশ্নঃ নবুয়তের কত বছর পরে তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার করেন?
উত্তরঃ ৩ বছর পর।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রধানতম স্থায়ী মো’জেযা কি?
উত্তর ঃ কোরআন শরীফ।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম ‘মোহাম্মাদ’ রাখেন কে?
উত্তরঃ দাদা আব্দুল মুত্তালিব।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র অঙ্গে সর্বপ্রথম আঘাত করেন কে?
উত্তরঃ অভিশাপ্ত আবু জেহেল।
নবী পত্মীগণ
প্রশ্নঃ বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীগণের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ১১ জন।
প্রশ্নঃ হযরত খাদিজা (রাঃ) এর প্রথম স্বামীর নাম কি?
উত্তরঃ আতিক ইবনে আয়েজ।
প্রশ্নঃ হযরত খাদিজা (রাঃ) কত বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন?
উত্তরঃ ৬৫ বছর বয়সে।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে হযরত জয়নাব বিনতে জাহাশের বিয়ে দিয়েছিলেন কে?
উত্তর ঃ স্বয়ং আল্লাহ।
প্রশ্নঃ ‘সাহাবা’ কাদেরকে বলা হয়?
উত্তরঃ যারা মু’মিন অবস্থায় অন্ততঃপক্ষে একবার হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দেখেছেন, ইসলামী পরিভাষায় তাদেরকে সাহাবা বলা হয়।
প্রশ্নঃ কোন সাহাবাদেরকে ‘বদরী সাহাবী’ হিসেবে চি‎হ্নিত করা হয়?
উত্তরঃ ইসলামের প্রথম জিহাদ বদরে অংশগ্রহণকারী সাহাবাদের কে ‘বদরী সাহাবী’ হিসেবে চি‎িহ্নত করা হয়।
প্রশ্নঃ কোন দশজন সাহাবাকে আশারায়ে মুবাশ্শারা বলা হয়?
উত্তরঃ যে দশজন সাহাবা পৃথিবীতে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন তাদেরকে আশারায়ে মুবাশ্শারা বলা হয়।
প্রশ্নঃ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজা মুবারকের দুই পার্শ্বে কোন দু’জন সাহাবার সমাধি অবস্থিত?
উত্তরঃ হযরত আবু বকর (রাদি.) ও হযরত উমর (রাদি.)।
প্রশ্নঃ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইন্তেকালের পর প্রথম খলীফা নির্বাচিত হন কে?
উত্তরঃ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)।
প্রশ্নঃ ইসলামী জগতের দ্বিতীয় খলীফা কে?
উত্তরঃ হযরত উমর (রাদি.)।
প্রশ্নঃ হযরত আলী (রাদি.) বিরত্বের জন্য কি উপাধি পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ আসাদুল্লাহ অর্থাৎ- আল্লাহর বাঘ।
প্রশ্নঃ সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তরবারী) উপাধি পেয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাদি.)
প্রশ্নঃ কোন দানশীল প্রতিদিন একটি করে গোলাম আযাদ করে দিতেন?
উত্তরঃ হযরত উসমান গনী (রাদি.)।
প্রশ্নঃ কোন সাহাবীর শাহাদাতের পর ফেরেস্তারা তাঁর গোসল দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ হযরত হানযালা ইবনে আমের (রাদি.)।
প্রশ্নঃ মদিনায় ভুমিকম্প শুরু হলে কোন পুণ্যত্মার লাঠির আঘাতে তা বন্ধ হয়ে যায়?
উত্তরঃ হযরত উমর (রাদি.) এর লাঠির আঘাতে।
প্রশ্নঃ কে সর্বপ্রথম বাইতুলমাল প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ হযরত আবু বকর (রাঃ)।
প্রশ্নঃ হিজরী সন গণনাকারী কে?
উত্তরঃ হযরত উমর (রাদি.)।
প্রশ্নঃ ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন কে?
উত্তরঃ হযরত বেলাল (রাদি.)।
খোলাফায়ে রাশেদীন
প্রশ্নঃ খোলাফায়ে রাশেদীন কারা?
উত্তরঃ খোলাফায়ে রাশেদীন ৪ জন। যথা ঃ- (১) হযরত আবুবকর (রাদি.) (২) হযরত উমর (রাদি.) (৩) হযরত উসমান (রাদি.) (৪) হযরত আলী (রাদি.)।
প্রশ্নঃ খোলাফায়ে রাশেদীন এর রাজত্বকাল বা খেলাফত কত বছর স্থায়ী ছিল?
উত্তরঃ ৩০ বছর।